ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে গেলো অধরার।এতো হৈ-হুল্লোড় হবে ভাবেনি সে।
আর তার বর? লম্বা দৈহিক গড়নের সাথে চাওড়া বুক আর সৌম্য মুখশ্রী।যাকে সুপুরুষ বলে আরকি!
তার নাম সাজিদুল ইসলাম নিয়ন।পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়াতে অধরার মা-বাবার আপত্তি ছিলোনা,আসলে তার মা-বাবার আপত্তি ছিলোনা কখনোই।যে প্রস্তাব আসে তাতেই তাদের পাত্র পছন্দ হয়ে যায়।বিয়ের মতো একটা সিরিয়াস ব্যাপারে তাদের এহেন আচরণে যারপরনাই বিরক্ত অধরা।তার কথা হলো,সে যদি মনের মতো কাউকে না পায় তাহলে রাজি হবে কেন! তাই এবারো তার পছন্দ হওয়া নিয়েও সংশয় ছিল।আধুনিক যুগের নিয়মে অধরার কাজিন তাকে নিয়নের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো এক রেষ্টুরেন্টে।অল্প পরিচয়ে অধরার ভালোই লাগলো
তবে কেমন যেন একটু বোকসোকা,একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে নার্ভাস হয়ে গেলো! অবশ্য দেখতে সুন্দর,প্রথম দেখাতে অধরার মনে হয়েছিলো সে যেন আরেফিন শুভকে দেখছে।এভাবে বার দিনেক তার সাথে ঘুরার পর অধরা বুঝলো উনি বোকাতো ননই,কিছু ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গি অধরার জন্য মনোমুগ্ধকর।ব্যাপারটা এমন না যে অধরা কখনো প্রেম করেনি,বরঞ্চ ছেলেদেরকে সে হারে হাড়ে চিনে বলেই তার ধারণা।
তার ধারণা পরিবর্তন ঘটেনি,তবে সে মনে হয় এই লোকটার প্রতি একটু একটু করে আকৃষ্ট হচ্ছে।
পরদিন অধরার মা তাকে জিজ্ঞাসা করলো পাত্রের ব্যাপারে।সে বলে আমার আর মতামতের দরকার কি,তোমরা যা বুঝো সেটাই করো(বলেই হাসি)।
এভাবে সে বুঝিয়ে দিলো নিয়নকে তার পছন্দ হয়েছে।মা কি বুঝেছে তার অভিব্যাক্তি? হ্যা,মনেতো হলো!
তাহলে এবার বিয়েটা করে ফেলাই যায়!