আমি রাজনীতি কম বুঝি। ছাত্রলীগ/ ছাত্রদলের/ছাত্রশিবির এইযে ছাত্র রাজনীতির যে দলীয় সংঘঠন গুলো এদের বাংলাদেশে কি কাজ?? আমাকে ক্লিয়ার কেউ ধারনা দিলে ভাল হত। এই তেইশ চব্বিশ বছরের জীবনে আমি একটা ভাল কাজ কিংবা ভাল কাজে সহায়তা দিতে দেখিনি । দলীয় তেল মালিশ! দলীয় মারামারি ! নির্বাচনের সময় কারচুপি! চাঁদাবাজি, মাস্তানি এছাড়া আমার চোখে কিছু পরেনাই কেন? বোধ করি আমার চোখের দৃষ্টি শক্তি কম । একটু রেফারেন্স সহ ভাল করে বুঝিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম ।
আমি বর্তমানে এমন একটি দেশে থাকি যেখানে ছাত্র রাজনীতির নাম গন্ধ নেই । আছে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন । এরা ভার্সিটি থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট, বিজনেস আইডিয়া, ইনোভেশন, লিডারশিপ বিল্ড আপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চাইনিজ কোন ভার্সিটিতে আমি মারামারি কাটাকাটির ম আর ক কোন টাই দেখি নাই, শুনিও নাই। এই দেশের ছাত্ররা বিশ্ব কাপাচ্ছে। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোয় চাইনিজ স্টুডেন্ট কিংবা গ্রাজুয়েটদের দারুন কদর। এরা ঠিক ৫টা ঘুম থেকে ওঠে আবার ঐদিকে ১২টার ভেতর ঘুমিয়ে যায় । মাঝে সময়টুকুতে প্রোডাক্টিভ কোন কাজ ছাড়া অন্য কাজ করেনা। এদের লাইফ যে রস কস ছাড়া এমনটাও না। চাইনিজদের প্রেম আমার দেখা সেরা প্রেম। এদের কেউ বেকার থাকেনা । সামার আর উইন্টার ভ্যাকেশনেও এরা কোন রেস্টুরেন্টে বা অন্য কোথায় কাজ নিয়ে নেয় । গ্রাজুয়েশনের পড় হয় নিজেই ব্যবসা বা চাকুরিতে ঢুকে যায়।
আমি জানতে চাই এইযে এতো এতো রাজনৈতিক দল করা সোনার ছেলেরা এতো দল দল করে কি পায় ? দল তো ভাল কিছুর জন্য । পূর্বে অনেক আন্দোলনে ছাত্রদের ভুমিকাই সব থেকে বেশি। এতো হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের কি ভাল কাজে লাগানো যায় না? দেশ রসাতলে সেই কবে থেকে! কিঞ্চিত উন্নতি হয় বৈকী! এর থেকে শত গুন বেশি উন্নতি সম্ভব ।
এস্থোনিয়া নামের একটি দেশ আছে । যে দেশ কে ই- কান্ট্রি বলা হয়।এ দেশের সব কিছুই অনলাইন। এমনকি অন্য দেশে বসে ভিসা / রেসিডেন্স পারমিট / ট্রেড লাইসেন্সও অনালাইনে বিদেশীরা করতে পারে। তের লাখের কিছু কম বেশি মানুষ বসবাসকারী দেশ। কষ্ট করে ইন্টারনেট থেকে দেশটির ইহিতাস আর বর্তমান অবস্থা জেনে নিলে বোঝা সহজ হবে দেশের উন্নতির রেখা কত দ্রুত চলে। কি কি করা সম্ভব এই সোনার বাংলাদেশে।
সময় থাকতে বদলান! এখন নয়ত কখন?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭