ড. ইউনুসকে ফোর্বস এর সম্মাননা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে নানাবিধ পুরষ্কার, সম্মাননা প্রাপ্তির ঝুলি আরেকটু সমৃদ্ধ করলেন বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন আয়োজিত বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গের সম্মেলনে সম্মাননা পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের দুই শতাধিক সর্বোচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তির সম্মেলনে গত ৫ই জুন জাতিসংঘ ভবনে ড. ইউনূস ও ওয়ারেন বাফেটকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বিবিসি অনলাইন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং দারিদ্র্য নিরসন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও পরিবেশের মতো বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে ভূমিকা রাখার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সম্মাননা বক্তব্যে ড. ইউনূস বিশ্বের সর্বোচ্চ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গকে সামাজিক ব্যবসায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। একই সঙ্গে প্রস্তাব করেন, এই সম্মেলনে যারা অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের দানের অর্থের দশ শতাংশ প্রতি বছর তারা যেন সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। ওয়ারেন বাফেট ছাড়াও এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বখ্যাত ধনী বিল গেটস, বিল এ্যাকমেন, বোনো, রে চেম্বার্স, পল টিউডর জোন্স, পিটার জি পিটারসন, সোয়ার্স ম্যান, এবং জেফ স্কল প্রমুখ।
সন্ধ্যায় মুহাম্মদ ইউনূস ও ওয়ারেন বাফেটের সম্মানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একজন সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদানের আগে স্টিভ ফোর্বস মুহাম্মদ ইউনূস ও তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলেন তিনি দারিদ্র্য নিরসনে একজন অসাধারণ অনুঘটক, একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, যিনি মানুষের প্রকৃতির শুভ দিকটির সংজ্ঞায়নে অনেক অবদান রেখেছেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিপুল বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ সমবেতভাবে দাঁড়িয়ে বিপুল করতালি দিয়ে ড.ইউনূস এবং ওয়ারেন বাফেটকে অভিন্দন জানান। জাতিসংঘে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের এই সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন। ফোর্বস ম্যাগাজিনের চেয়ারম্যান স্টিভ ফোর্বস বলেন, এই সম্মেলন কে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সম্পদের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক ট্রিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের মোট সম্পদের ছয় ভাগের এক ভাগ।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
আলোচিত ব্লগ
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন
পঁচে যাওয়া বাংলাদেশ আর্মি
একটা দেশের আর্মিদের বলা হয় দেশ রক্ষা কবজ,গোটা দেশের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বহিরাগত দুশমনদের আতংকের নাম। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা নিয়ে কয়েকটা জেনারেশন বড় হয়ে উঠলেও সেই জেনারেশনের কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন