তন্দ্রা বসে আছে একা। টেবিলে রাখা গরম কফি কখন ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে টেরই পায়নি। মনটা যেনো কোথায় উড়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও তো এখানে ছিল মৌসুমী ফুলের কারুকর্য আর প্রজাপতি-ভোমরার লুকোচুরি। নির্মল মাধুর্যে বাগানের মিষ্টি ফুলের গন্ধে কখন কফি শেষ হয়ে যেত টের পাওয়া যেত না। তার কথা ওরা শুনেনি। শশুর মারা যাবার পর সবাই মিলে ডেভেলপারকে দিয়ে দিল বাসাটা। কিছুদিন পূর্বে তন্দ্রারা নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে। সেই জমি, আশে-পাশের সেই পুরুনো কংক্রিটের মাঝে নতুন একটি ইটের খাচায় আজ ওর আবাস। আগে সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে আনমনা হয়ে যাবার স্মৃতি তন্দ্রা বার বার চারণ করতে থাকে। মৃদু হাওয়ায় আর ম্যাগাজিন পড়া হয় না। শহুরে জঞ্জালে সবাই নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছে।
দিনগুলো মোর সোনার খাচায় রইলো না, রইলো না
সেই যে আমার নানা রঙের দিন গুলি
কান্না-হাসির বাধন তারা সইলো না, সইলো না
সেই যে আমার নানা রঙের দিন গুলি
ইন্দ্রাণী সেনের কন্ঠে ভেসে আসা গানে বারান্দার রেলিংএ গা এলিয়ে দিলো তন্দ্রা। সন্ধ্যার পবিত্রতা মনে হয় বেড়ে গেল। আজ তো পূজোর ফুল গুলো নেই, তাই গানই না হয় হলো পূজার অণূষঙ্গ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




