somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কতটুকু সত্য? নাকি রাজাকারদের নতুন কোন চাল? নাকি মুনতাসির মামুন......!!

০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুনতাসির মামুনঃ এক চরম ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা ও
গবেষকের প্রতিকৃতি! লিখেছেন পুস্পিতা >যুদ্ধাপরাধের বিচার নামের নাটকের দু'জন সাক্ষীর ব্যাপারে জাতি খুবই উৎসাহী,তারা হলো ঘাদানিক শাহরিয়ার কবির ও... মুনতাসির মামুন। ওই নাটকের মূল পরিচালক- প্রযোজক-নাট্যকার বলতে গেলে এই দু'জন।নাটকের জন্য এ পর্যন্ত যত স্ক্রীপ্টলিখা হয়েছে তার অধিকাংশের লেখক এরা। কথিত শীর্ষ যুদ্ধপরাধী (?!) গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে নাটকের অভিনয়েও
পার্ট নিতে শুরু করে মুনতাসির মামুন। কিন্তু সেখানে তার যে রূপ বেরিয়ে আসলো তা খুবই আশ্চর্যজনক। এ কি কথা শুনা যাচ্ছে আজ?! কথিত
মুক্তিযোদ্ধা, ঘাদানিক মুনতাসির মামুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণই করেনি?! এতদিন সবাই জানতো মুনতাসির মামুন বিশাল মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বিশাল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, ঘাদানিক মুনতাসির মামুন নিজে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণই করেনি! স্বীকার
করেছেন মামুন নিজেই। যদিও এ তথ্যেটি মুনতাসির মামুন জেরার সম্মূখীন হওয়ার আগে কোন জায়গায় কখনোই প্রকাশ করে নি। ভয়ংকর তথ্য। বলা যায় তার বিষয়ে এটিই হচ্ছে ৪২বছর পর বের হওয়া সর্বশ্রেষ্ট তথ্য। ১৯৭১ সালে ঢাবি'র অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র টগবগে যুবক মুনতাসির মামুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে নাকি মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ছিলেন! কিন্তু কিভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ছিলেন? ১৯৭১ সালে মামুন থাকতেন মিরপুরে চাচার বাসায়। মামুনের ভাষায়, সেখানে নাকি ২৫-২৯ মার্চ পর্যন্ত বাঙ্গালীদের হাজারে হাজারে হত্যা করছিল বিহারীরা। কিন্তু তাকে মারেনি! শুধু তাই নয় তাকে স্বসম্মানে সেই হত্যাকারী বিহারীরাই ২৯ মার্চ ঢাকায় দিয়ে আসে। এরপর তার
গন্তব্য ধানমন্ডির চাচার বাসা। তার চাচাও সে সময় খুব আলিশান চাকুরিতে পাকিস্তান আর্মির নিরাপত্তায় নিয়মিত অফিস করতেন।
সেই চাচার বাসায় মামুন শান্তিতে বসবাস করতেন এবং নিয়মিত সেই সময়ে প্রকাশিত সকল পত্রিকা খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ে, রেডিও শুনে,
ঘুরে ফিরে সময় কাটাতেন। এভাবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পুরো ৭মাস খোদ ঢাকার কেন্দ্রবিন্দু ধানমন্ডিতে সুখে অবস্থান করতে থাকেন। কথাগুলো কিন্তু সব বলেছেন মুনতাসির মামুন নিজেই। অর্থাৎ নিয়মিত খেয়ে দেয়ে. ঘুমিয়ে, রাজার হালে থেকে মুনতাসির মামুন মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট কাজে লিপ্ত ছিলেন! বিশাল মুক্তিযোদ্ধা! এবার সরাসরি পাকিস্তান আর্মির আশ্রয়ে মুনতাসির মামুন- ২৯মার্চ থেকে ২০অক্টোবর পর্যন্ত সুখে শান্তিতে তৎকালীন সবচেয়ে অভিজাতআবাসিক এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থানের পর মামুনের একটু রুচির পরিবর্তনের প্রয়োজন হলো। এবার তিনি সরাসরি পাকিস্তান আর্মির অন্যতম যুদ্ধঘাটি চট্টগ্রাম বন্দরে চলে গেলেন। সেখানে পাকিস্তান আর্মির অন্যতম সহযোগী চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনের নিজ পিতার সরকারী বাসভবনে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করেন। অর্থাৎ পাকিস্তান আর্মির অন্ন খেয়ে তাদের আশ্রয়ে থেকে মুনতাসির মামুন মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট কাজ করতেছিলেন! মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টি পাকিস্তান আর্মির আশ্রয়ে থেকে মামুন যুদ্ধের পর এদেশীয় দালাল খোঁজার গবেষণা শুরু করেন! মুনতাসির মামুন ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জানতোই না গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী! স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পুরো নয়
মাস পাকিস্তান আর্মির আশ্রয়ে শান্তিতে থেকে মন দিয়ে পড়াশুনা করে ১৯৭২ সালে ঢাবি থেকে পাশ করে ১৯৭৩ সালে ঢাবির শিক্ষক বনে যান মুক্তিযোদ্ধা (?!) মামুন। সাথে সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিশেষ
করে বাঙ্গালী যারা স্বাধীনতার বিরোধী তাদের সম্পর্কে গবেষণাও (?!) শুরু করেন! সেই গবেষণামূলক লিখাগুলো তৎকালীন দৈনিক বাংলা এবং সাপ্তাহিক বিচিত্রায় হতো। ১৯৭২-৭৫ প্রায় সাড়ে তিন বছর তিনি গবেষণা করলেন অথচ বর্তমানের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী (?!) গোলাম আযমের কোন অপরাধতার গবেষণায় ধরা পরেনি বা পাননি। কি আশ্চর্য! শীর্ষ অপরাধীর বিরুদ্ধেই তিনি কোন অভিযোগ সাড়ে তিন বছরে পেলেন না, তাহলে কি গবেষণা তিনি করেছিলেন? পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পনের ঘটনাও গবেষক মামুন জানেন না- জেরাতে প্রশ্ন ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের সময় জেনারেল নিয়াজি তার অস্ত্রশস্ত্র এবং দলিলপত্র মিত্রবাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিংহ অরোরার কাছে প্রদান করেছিলেন। মামুনের উত্তর, তা আমি এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তিনি নাকি গবেষণা করেন, অথচ পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পনের বিষয়ে তিনি বলতেই পারেন না বা জানেন না। পাকিস্তান বাহিনী ভারতীয় বাহিনীল আছে আত্মসমর্পন করার পর ৪২ বছর চলে গেলো অথচ তিনি ওই বিষয়ে বলতেই পারেন না। আসলে পারেন না, নাকি সত্য বের হওয়ার ভয়ে প্রকাশ করছেন না?! তবে আর কিছু পারুক না পারুক, ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণকারী শিবির ১৯৭১ সালে আলবদর ছিল তা তিনি নিশ্চিতই জানেন! মুনতাসির মামুন কি আসলে কোন গবেষক? বিচার
নামের নাটক শুরু হওয়ার তোরজোড় যখন শুরু হয়েছিল তখন প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে বলেছিলাম যুদ্ধাপরাধের বিচার নামের সেই প্যান্ডোরার বাক্স অতি তারাতারি খোলা হোক। এরপর দেখতে চাই
কত বড় বড় সুশীলরা সেই বাক্স থেকে বের হয়ে আসে। বিচার নামের এই নাটক শুরু না হলে জাতি জানতোই না মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম
ভন্ড নায়ক মুনতাসির মামুন মুক্তিযুদ্ধই করেনি। সেই ভয়ংকর সময়ে মামুন পাকিস্তান আর্মির আশ্রয়ে পাকিস্তান সরকারের দেয়া বাসায় নিরাপদে দিনাতিপাত করতেন। মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ী মামুন ভাবমূর্তি যে পুরোটাই ভন্ডামির উপর প্রতিষ্ঠিত তা নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দিল তথাকথিত বিচার নামের এই নাটক। মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার নামে মামুন নাকি প্রায় ৩০০টি বই লিখেছেন। তিনি নাটকের স্ক্রীপ্টের মতো শুধু লিখে গিয়েছেন, কিন্তু কোন অনুসন্ধান করেন নি। তার বই থেকেই তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় তার কোনটিরই উত্তর তিনি দিতে পারেন না। তিনি নিজে বলেছেন ১৯৭১ এর পর গোলাম আযম পূর্বপাকিস্তান পূণরোদ্ধার কমিঠি গঠন করেছিলেন। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় সেই কমিঠির সম্পাদক কে ছিলেন? তিনি বলেন, বলতে পারব না। কারণ আমাদের কাছে গোলাম আযমের ব্যাপারটিই মুখ্য ছিল, অন্য কিছু নয়। নাটকের এত স্ক্রীপ্ট লিখার আসল উদ্দেশ্য এ কথা দিয়েই তিনি পরিস্কার করে দিয়েছেন। গোলাম আযম জামায়াতের আমীর ছিলেন,
সে কারণেই তিনি মূখ্য, অপরাধের কারণে নয়। ঘাদানিক মুনতাসির মামুন ভয় পেতে শুরু করেছে?! জেরা শুরু হওয়ার পর মামুন স্বীকার
করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক কিছুই তিনি জানেন না। কোন প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দিতে পারছেন না। খেই হারিয়ে ফেলছেন। শেষ পর্যন্ত
তিনি রেগে গেলেন। বলতে শুরু করলেন, আমি কোথায় থেকেছি, কোথায় বাড়ি এসব প্রশ্ন কেন করা হচ্ছে। করা হবেনা কেন? কথিত গবেষক পুরো জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধী বানিয়ে দিলেন অথচ যুদ্ধের সময় তার ও তার পুরো পরিবারের ভুমিকা কি ছিল তা জানতে হবেনা? চালুনী যদি সুইকে ছিদ্রের কথা দেখিয়ে দেয় তাহলে চালুনীকে কি তার নিজের রূপ দেখিয়ে দেয়া উচিত নয়? কয়েকদিনের জেরাতে মুনতাসির মামুনের আসল রূপ বেরিয়ে আসছে। জেরা আরো কিছুদিন চললে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কথিত ইতিহাসবিদের মিথ্যাবাদী চরিত্র জাতির সামনে সম্পূর্ণ ফুটে উঠবে। সে ভয়ে অবশ্য ট্রাইবুনালেই জেরা করার সুযোগ কমিয়ে দেয়ার
পায়তারা করা শুরু করেছে। কিন্তু তাতে কি মিথ্যুক মুনতাসির মামুনদের
কুৎসিত অতীত ঢাকা যাবে? এই কুৎসিত রূপ প্রকাশের কাজ তো তারাই শুরু করেছেন...

লেখাটি ফেসবুক থেকে হুবহু কপি করে দেয়া...। আমি আসলেই বিষয়টা নিয়ে দ্বিধান্বিত............

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০৮
১০টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×