somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিরর্থক শিষ্টাচার

১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সমাজ জীবনে পথে-ঘাটে আদব কায়দায় বিনয়ী হতে গেলে কপালে কষ্ট লিপিবদ্ধ আছে ৷ শালীনতাকে আজকাল দুর্বলতা মনেকরা হয় ,তার প্রমান পাচ্ছি বারবার ৷ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি “শিষ্টাচার মানব চরিত্রের মহৎ গুনাবলির প্রকাশ “ এ ধারণাকে লালন করে চলতে গেলে প্রতিনিয়ত অযুক্তিক সমালোচনার অসহায় শিকার হতে হয় ৷সমাজের অসভ্য, মুর্খ ,অসৎব্যাক্তি দের প্রতি শিষ্টাচার দেখাতে গেলে ঐ নোংড়া অমানুষগুলো সৌজন্যবোধকে অন্যচোখে দেখে অথবা ভাবে দুর্বলতা,তেলানো কিংবা অন্যকোন উদ্দেশ্য ৷### ১/ আমার মামার বন্ধু জামান সাহেব ,পেশায় ব্যাংকার সে সুবাধে এলাকায় ,রাস্তায় মামার মতো ভাবতাম যথেষ্ঠ সম্মান দেখিয়ে চলার চেষ্ঠা করতাম ৷উল্লেখ্য আমি এলাকায় কখনো চা-সিগারেট খাইনা ,এমন কি আজ পর্যন্ত ৷একদিন অন্য এলাকায় চায়ের দোকানের পিছনে ক্লাশমিটকে নিয়ে সিগারেট টানছিলাম তখন তিনি গেলেন ইউরিন ত্যাগে ৷উনাকে দেখে আমি সিগারেট ফেলে দেই এবং সালাম দেই৷ তিনি সালামের উত্তর দেয় এবং কি করছিলাম তাদেখা সত্ত্বেও পর্যবেক্ষনের জন্য আশেপাশে তদন্ত করতে লাগলেন পরে উনার স্ত্রীর কাছে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেন ৷উনার স্ত্রী আম্মার কাছে জানায় ,যার ফলে কলেজে পড়া বয়সে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হই ৷ইচ্ছা জাগছিলো উনার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানি ৷উনার ছেলেরা যে কাজগুলো করে ৷### ২/ অবসর প্রাপ্ত এক সেনাসদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় কলেজ থেকে ফেরার পথে, বডি ফিটনেস ভালো থাকায় নানা বিষয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে জানতে পারলাম তার একটা মেয়ে হেনা(ছদ্মনাম) একই ইয়ারে পড়ে ৷এই ভাবে পরিচয় রাস্তা-বাজারে দেখা সাক্ষাৎ হলে সালাম দিতাম উনি আমার পড়াশোনার খবর নিতেন ৷ তার কিছুদিন পর হেনা প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে ৷কিছু দিনপর ঐ ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হলো সালাম দিলাম কিন্তু উত্তর দেননি ৷আবার আরেকদিন সালাম দিলাম উত্তর দেননি ৷পরে জানতে পারলাম হেনা যে ছেলেটার কাছে বিয়ে বসছে সেই ছেলেটার সঙ্গে আর্মির খুব সখ্যতা ছিলো ৷তাপর থেকে সালাম দেইনা ৷পরে অনেকের কাছে আমার আদব-কায়দা নিয়ে সমালোচনা করেছেন ৷আমি নাকি মানুষকে সালাম কালাম দেইনা , বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে হলে সিনামা দেখি ৷ বারবার সমালোচনা শুনে,উনারে বলতে ইচ্ছা জাগছিলো সিনামা না দেখ্যা আপনার মেয়ের গোছলের দৃশ্য দেখমু নাকি !### ৩/ আক্কাছ সাহেব (চাকরীজীবি ছেলে-মেয়ের রোজগারে সংসার চালায় আর ঘুরেফিরে খায়) বাবার আাত্নীয় সে সুবাধে উনাকে যথেষ্ঠ সমীহ করে চলি ৷মাঝে মাঝে পারিবারিক নানা বিষয়ে কথাবার্তা হতো ৷তিনি নাকি আমার বাবার কাছে জানায় আমাকে রাতে কলেজের মাঠে সিগারেট টানতে দেখেছেন ৷আমি জানি বাবা কথাটা শুনে অনেক অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন ৷আম্মার কাছে বিষয়টা জানায় কারণ ভার্সিটি ভর্তি হবার পর থেকে শারীরিক নির্যাতন উঠেগেছে মানসিক নির্যাতন এখনো আছে ৷আম্মা শুধু বল্ল আব্বু অনেক কষ্ট পেয়েছে ৷আমার মনেমনে ভাবলাম আর্শ্চয মানুষের বিবেক উনার মতো বাজে লোকের দ্বারা এইসব অহেতুক কর্ম আর মহিলাদের লুচ্ছামি দৃষ্টিতে দেখা ছাড়া কোন কাজ নেই ৷ছেলে-মেয়ে সরকারী চাকুরীজীবি অন্যের সমালোচনা করাতে বাঁধা নেই ।### ৪/এলাকার মুর্খপয়সা ওয়ালা এক ব্যাক্তিকে দেখা হলে প্রায়ই সালাম দেই ৷তিনি আমার বাবার কাছে জানতে চায় লেখা-পড়া শেষ হতে কত দিন আছে !আমার বাবা জানায় M.B.A শেষ হয় নাই ৷আবার জানতে চায় অনার্স পাশে টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে আমার চাকরী-বাকরী হয়ছে কিনা ?উনি আরো জানিয়ে দেন উনার নাতি ডিপ্লোমা শেষ করে ২০,০০০টাকায় চাকরী করছে সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে ৷তাছাড়া আপনার ছেলেরে মাঝে মধ্যে দেহি (দেখি) নতুনবাজার বন্ধুবান্ধবদের লগে (সঙ্গে) আড্ডাবাজি করতে ৷কইন (বলেন)চাকরী-বাকরী করতে ৷আমার বাবা তার কথাবার্তার স্পষ্ট উত্তর দেয় ৷আব্বু বলেন লেখাপড়া শেষ হোক দ্বিতীয়ত বলেন ছেলে বড় হইছে তার ব্যাক্তিত্ত্ব তৈরী হয়ছে বন্ধুবান্ধব থাকতেই পারে বড় পুলাপানের বিষয় নিয়ে আমার কাছে বলা কি আছে !বাসায় ফিরে আব্বু প্রথম বল্লেন আজে বাজে লোকদের সালাম ও সম্মান দেখালে বিপরীত ভাবে দেখে ৷আমার বাবা পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন বেকার ছিলেন ৷তাই সমালোচনাটা সহজে বুঝতে পেরেছেন এবং বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন ৷###অতএব এসব বাজে মানুষদের সম্মান দেখালে দুর্বলতা ভেবে মাথায় উঠে ৷তারা ভাবে ছেলেটা ভদ্র সমালোচনা করলেও কিছু জিজ্ঞাসা করবেনা ৷তাই এত সাহস পায় ৷যদি ঐ সব মানুষরুপী পশুদের সম্মান###না দেখিয়ে এড়িয়ে যেতাম তবে ভাবতো সমালোচনা করলে এই ছেলে তো আমার সার্ট কিংবা পাঞ্জাবীর কলার চেপে ধরবে ৷তাই এই সব অমানুষদের সমালোচনাকে ভাবি পুষ্প-চন্দন ৷এ সব লুচ্ছা,ঘুষখোর সুদখোরদের কুকর্ম নিয়ে সমালোচনা করে তাদের পর্যায়ে যেতে চাই না ৷
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×