মানুষ হইতেছে খোদার সবচেয়ে শ্রেষ্ট জাতি। কিন্তু এই মানুষই পশুর কাতার থেকেও আরো নিম্ন কাতারে নাইমা যাইতে পারে তার কর্মের কারনে। মানুষ জাতির মইদ্ধ্যে খুব বেশি জাতি নিয়া গবেষণা করার চান্স হয়নাই কিন্তু কতিপয় জাতি নিয়া জানার পরে বুইলতে বাধ্য হইতেছি-
যে জাতি হিসাবে গর্বিত বাঙালি জ্ঞান করিতাম একটা বয়স হওয়া পর্যন্ত কিন্তু এখন পর্যন্ত যা দেখতে পাইতেছি সেইটা আসলে বাইরে ফিটফাট ভিতরে ফাক অবস্থা।
আমি যে জ্ঞান করি সেইটার ভিত্তিতে বলিতে পারি, মানুষকে একটু বেশি ক্ষেমতা দেওয়া হইছে আর এই খেমতার ফালতু ব্যবহারে আমরা খারাপ/বাজে জিনিসগুলায় দুনিয়ার সব জাতিরে পেছনে ফালাইতে যা করার সবই করিতেছি।
গত ২ দিন আগে এলাকায় একই দিনে ৩ টা জানাযা হয় যার ৩ জন মানুষই ভেজাল খাবারের শিকার হইয়া অকালে প্রাণ হারাইয়াছেন। ২ জনের হইছে ক্যানসার আরেকজনের কিডনি। এখন প্রায়ই শোনা যায় উনি ক্যান্সার রোগী, তমুক কিডনি নষ্ট তো অমুকের পিত্তে পাথর তো জটিল রোগ হইয়াছে। ঘরে ঘরে এলার্জির রোগী, সিজনাল জ্বর কারুরে ছাইড়া যায় না, পাড়ায় পাড়ায় ফার্মেসি। ফার্মেসী ব্যবসার মত উজ্জল ব্যবসা আর কিছু নাই।
ত কেন হইতেছে এইগুলা? মানুষের শরীরের খারাপ অবস্থার ওপর ব্যবসা চাঙ্গা হইতেছে কেন? আমাদের দেশে ফলফসল/শাক/সবজি/শস্যাদিতে যেইপরিমান কিটনাশক ব্যবহার হয়, যেই পরিমান রাসায়নিক বস্তুর ব্যবহার হয় সেইটা দুনিয়ার আর কোন দেশে কি আছে? এ তো গেল সাধারণ বিষয়, মানুষকে ইটের গুড়া গছিয়ে দেওয়া হইতেছে মরিচের গুড়া বেচার নামে এমনকি নকল ওষুধের ট্যবলেটে বিষ্টা/মাটি ভরে বিক্রি কইরা হইতেছে বইলাও খবর পড়তে হয় মাঝে মাঝে।
ইচ্ছামত কেমিকেল ব্যবহার হইতেছে সাদা চিনি উৎপাদনে অথচ দেখার কেউ নাই। সাদা চিনি শুনেছি ক্যান্সার তৈরি করার চান্স আছে। এই জিনিসটা ব্যবহার হয় না এমন কোন ঘর এই দেশে আছে বইলা জানি না। হরের প্রকার কেমিকেন, ইন্ডাস্ট্রি ফার্টিলাইজার, কীটনাশক, এন্টাইবায়োটিকের সোদনে শরিরের ভারসাম্য নষ্ট হইব না তো কি হইব? ওষুধের ওপর বেঁচে থাকতে হইতেছে দেশের সিংহভাগ মানুষের, অথচ আমাদের আগের প্রজন্মের ওষুধ বারো বছরে লাগত কি-না সন্দেহ আছে।
সব সমইস্যার মুল হইতেছে মানুষের লোভ। পয়সা কামাই করিতে গিয়া কৃষকেরা দেদারসে বিষ মিশিয়ে ফসল ফলাইতেছে, ব্যবসায়ীরা ভেজাল মিশাইতেছে, জেলে/ব্যবসায়ীরা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়া মাছের পচন রোধ করতেছে আর রাস্তাঘাটে ধুলি/বালির/পঁচা বাসি গন্ধ/ফ্যাক্টরির নির্গত ধোঁয়া যাতে মানবদেহ/পরিবেশের জন্য মারাত্বক কেমিকাল তো আছেই। সব মিলিয়া দেখতাছি এই দেশটাকে ধনের মোহে অন্ধ লোকেরা দোজখ বানিয়ে ফেলতেছে।
কিন্তু কে আটকাইবে? সবারই পয়সা দরকার, ক্ষেমতা দরকার, সমাজের ভালোর জন্য ভাবএ তো লুজাররা/অবাস্তব পাবলিক। প্রশাসনে যারা আছে তারা নিজেদের রাজা মনে করে, আর রাজার অতো কি কাজ করা লাগে নাকি? কর্মচারী/গোলাম তো এই সব পাবলিক। এরা মরলে কি আর বাঁচলেই কি।