somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভবিষ্যত পৃথিবিতে ইসলাম ধর্ম সহ বাকি সব ধর্ম গুলা কি বিলুপ্ত হবে?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে কতিপয় বিজ্ঞান মনস্ক লোকেদের দেখা পাওয়া যায় যারা এমন ভাবে ধর্মগুলোকে ট্রিট করেন যেন এইগুলা ছাই/বাসি মাল। কিছু কিছু লোক আছেন যারা মোটামুটি সতর্কতার সাথেই ধর্মের বিপক্ষে নিজেকে অবস্থিত করেন। আমি ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা লোকদেরকে অপছন্দ করি না কিন্তু যারা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগে অন্যের অন্তরে ক্ষত সৃষ্টি করতে চান তাদেরকে অপছন্দ করি। ইসলাম নিয়ে কিছু পোস্ট সম্প্রতি দেখতে পাওয়া গেছে যেইগুলাতে বুঝা যায় কিছু কিছু ব্যক্তি মানুশ দেও/জ্বীন এইসব পুরোপুরি অবাস্তব বলিয়া জ্ঞান করেন। আমি নিজে একজন যুক্তি নিয়ে চলা মানুষ, আমি আযৌক্তিক জিনিস সর্বদাই এড়িয়ে চলি/অপছন্দ করি। এই জায়গায় এসে আমি প্রায়ই কন্ট্রাডিকশনে পড়ে যাই বা অনেকে পড়ে। যেসকল বিষয় নিয়া আমরা দ্বিধা/কনফিউজড হইতে হয় সেইগুলা নিয়া বেশি বেশি আলাপ করলে ভাল। আমি সেই কারণে ধর্মের/বিজ্ঞানের পোস্টে বেশি করে অংশ গ্রহণ করি।
যাইহোক, আমি মোটেও মনে করি না অদি আধুনিক পৃথিবিতে ধর্ম তার স্থান হারিয়ে ফেলবে। কারণ মানুষের মন। মানুষ এতই মহান এবং এতই নীচ যে প্রায়ই ইহা বে আক্কেল করে দেয়। মানুষের মন তাকে বাধা দেয় বাপ দাদার পালন করা পরিচয় মুছে ফেলতে। এর বাইরে তার এত দিনের জ্ঞান, বিশ্বাস নতুন কোন পদ্ধতি দেখে সে সংকোচিত হয় কিন্তু এর পরেও মানুষ নিজের ধর্ম বদল করে/বাদ দেয়। এর পেছনে নিজের অর্থনৈতিক উন্নতি একটা বড় কারণ হইতে পারে এবং আরেকটা উল্লেখ যোগ্য কারণ হইল ভন্ডামি/পাকনামি।
কতিপয় লোক আছেন যারা পাকনামি ফলাইতে গিয়া নিজেকে ধর্মের শত্রু হিসাবে জাহির করেন, আবার কতক নিজের ভেতরে স্বীয় ধর্ম লালন করে বাইরে সকল ধর্মের বিরুদ্ধে মুখ খারাপ করেন। ইহা মানব চরিত্তের একটা বিশাল বৈশিষ্ট্য যা শুধু এই মানব জাতেই পাওয়া যায়, শয়তান জাতের মইধ্যেও এই জিনিসটা নাই। সেই কারণেই বলি, মানুষ খুবই নিচু জাতি।
আমার কথা বলি- আমি বিশ্বাস করি এই মহাবিশ্ব এমনি এমনি হইবার কোন উপায় নাই এবং এর সৃষ্টি বিগ বাং হইতে হইয়াছে এইটা স্বয়ং কোরআনে বলা আছে। ১৪০০ বছর আগে খোদা বিস্ময়কর সব তথ্য দিয়ে রেখেছেন যা কোরআনে পাওয়া যায়। অতএব আমি খোদা/কোরআন/নবী অস্বীকার করার মত সুযোগ দেখি না। আমার মত বিজ্ঞান/যুক্তি নিয়ে ঘাটাঘাটি যাহারা করেন তাদের অনেকেই নিজের বিশ্বাস আরো শক্ত করিতে পেরেছেন বিজ্ঞানের মহা মহা সকল তত্ব জানিবার পরে।
কোরআনে ইভুলুশন এর বিরুদ্ধে কোন মত নাই, বলা আছে আদম ও হাওয়া আঃ কে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হইয়াছে। ইভুলুশনে মানুষ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে মহান মানুষ হইতে পারিছে বলা হইতেছে। নিয়ান্ডার্থাল জীবাশ্ব ইত্যাদি পাওয়া গেছে তাই ঐসকল গবেষক ভাবতেছেন আমরা প্রকৃতি হইতেই আসিয়াছি। শুধু একটা জায়গায় উনারা নিজেদের পৃথক রাখিতেছেন সেইটা হইল আমরা অন্য জায়গা হইতে পৃথিবিতে আসিবার ব্যাপারটা। উনারা আমাদের পৃথিবিতে অবস্থানের পেছনে এইটা রাখিবেনই বা কেন? কোরআন/বাইবেল/তারাহ তো ১০০% সর্বজন স্বীকৃত নহে। তাই তারা এইখানে আসিতে পারিতেছেন না।
তবে কম সেন্স বলিয়া একটা জিনিস আছে যা খুবই শক্তিশালী। আমার মত যারা কমন সেন্স রাখেন তারা নিশ্চয়ই অস্বীকার করিতে পারিবেন না-
১। আল্লাহ পৃথিবী সহ বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন।
২। তিনিই মানব জাতি সৃষ্টি করেছেন।
৩। প্রাণ প্রণালি/প্রকৃতি তারই সৃষ্টি যেখানে এভ্যুলোশন, গ্রাভিটি সহ নানান পদ্ধতিতে মহাবিশ্ব চলিতেছে।
যাক, কথা হইতেছে বিজ্ঞান আরো উন্নত হইবে, মানুষ আরো কোরআনের দ্বারা বিস্ময়াভিভুত হইবে। গায়েব/বাতেন অস্বীকার কারী লোকেরাও তাদের অস্বীকার করিবার ত্বরিকা মজবুত করবে তবে যারা ইমানদার তারা ঠিকই আল্লাহকে নিজের স্বত্ত্বায় খুজিয়া পাইবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
১৫টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×