আমার মা খুব ভালো টেইলর ছিলেন। খাঁটি বাংলায় দর্জি। আব্বার সরকারী চাকরীর সামান্য বেতন দিয়ে কিভাবে এই মহিলা সংসার চালাতেন সেটা এখনও বিষ্ময়। তার উপর আত্নীয় সজন তো প্রতিদিনই ছিলো। ফ্লোরে বিছানা করে ঘুমানোটাই ছিল নিত্যকার।
যা বলছিলাম। ঈদের সময় আম্মার কাছে প্রচুর সেলাইয়ের অর্ডার আসতো। আম্মা সারাদিন সংসার সামলিয়ে সন্ধ্যায় শুরু করতেন সেলাই। আমি অনেক কিছু দেখে, দেখেই শিখে ফেলেছিলাম। হেম করতে পারতাম অবিশ্বাস্য দ্রুত। আম্মা সেলাই করতো, আমি হেম করা , বোতাম লাগানো এই সব করতাম। ঈদের ঠিক আগের দিন আম্মা অন্যদের বানানো জামা-কাপড় থেকে যে সব ছোট ছোট টুকরা বেঁচে যাইতো সেইগুলো একসাথে করে আমার আর আমার ছোট বোনের জন্য একটা করে জামা বানিয়ে দিতেন। আমরা সেই জামা পরে মহা আনন্দে ঈদ করতাম।
তখন কি আর জানতাম আমাদের এই জোড়াতালি আসলে সুন্দর এক শিল্পের নাম - প্যাচওয়ার্ক !

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




