কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি
ছেলেবেলায় এক ইউটিউবার লাইভে এসে বলেছিলো
শুক্লা দ্বাদশীর দিন এসে ইউটিউবার হওয়া শিখেয়ে যাবে
তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই ইউটিউবার
আর এলোনা
পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি।
মামা বাড়ির ভাইরাল ছেলে পাংখু হিরো বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি ভাইরাল বানিয়ে দিবো
তখন দেখবে প্রতিটি ছেলে-মেয়ের পোস্টে
তুমি খেলা করো!
পাংখু হিরো, আমি আর কত বড় হবো?
আমার যখন মাথায় টাক পড়বে,
ভুড়ি ফুলে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়
ভাইরাল বানাবে?
একটাও কনফেশন্স পাইনি কখনো স্টুলিশ আর সারাহায়
৪-৫টা মেয়েকে নিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে ঘুরেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা
ভিখারীর মতন রমণা-ধানমন্ডি লেকের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
ভিতরে রাস-উৎসব
কত শত ফর্সা রমণীরা
সেলফিতে স্পাউট দিয়ে হেসেছে
আমার ছবির ফ্রেমেও আসেনি কখনো কোন মেয়ে!
বন্ধু আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলো, দেখিস, একদিন আমরাও সেলফি তুলব__
কিন্তু হাতে এখন আমাদের নোকেয়া ১১০০ মডেল,
সেই কনফেশন্স, সেই মেয়েরা, সেই স্পাউট দেয়া সেলফি
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!
DSLR Mark-3 ক্যামেরা দেখিয়ে বরুণা বলেছিল,
যেদিন এমন ক্যামেরা এনে ছবি তুলবে আমার
সেদিন আমার বুকে তোমার জায়গা হবে!
ভালোবাসার জন্য আমি নিজের ঘরে চুরি করেছি
রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করেছি
বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যামেরা!
তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার সব এডিট করা ছবি
এখন সে যে এক বড় ফটোগ্রাফারের বিবি।
কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না!
অনুপ্রেরণাঃ বন্ধু নির্ণায়ক
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯