এক বান্ধবীরে (কলেজ জীবনের) ফোন দিলাম।সে ফোন ধরে আরেক বান্ধবীর বিয়ের খবর দিল। অতপর কহিল, পুলাডা তোর চেয়েও কালা।এর খানিক পরে এক বাল্যবন্ধু ফোন দিয়ে বলল, তার বিয়ে। আমি গেলে খুশি হবে।আমি পারব না বলে ফোন রেখে আরেক বাল্য বন্ধুরে (ও বিবাহিত) ফোন দিয়ে বললাম, এখনই হাজার পঞ্চাশেক টাকা ট্রান্সফার করতে পারবি কি না? আমার খুব জরুরি দরকার।বন্ধু, আমারে বিয়ে কেন জরুরি আর বউ এর পাশাপাশি জিএফ রাখার উপকারিতা শুনালো বেশ কয়েক মিনিট ধরে।
রাত ১১টার মতো। আমি চুপচাপ বসে আছি।এক চাচাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, চাচা ফিলিপাইন চলে যাচ্ছি।
চাচা: কেন কেন?ফিলিপিনো কেন কেন?
আমি: নতুন ফিলিপিনো বান্ধবী হয়েছে। তার টানে।
চাচা (গম্ভীর হয়ে): নো কমেন্ট। একটু বিরতি নিয়ে তার নিজের বিবাহের কাহিনী শোনানো শুরু করলেন।
শুনতে ভালই লাগছে। চাচা কাহিনী শুনতে শুনতে আমি শৈশবে ফিরে যাই।আম্মার কাছে আব্বার কাছে।সময়, রাত ২টারও বেশি।চারপাশে সুনসান নিরবতা। হঠাৎ হঠাৎ কুকুরের ঘেউ ঘেউ শোনা যায়।আমি একা রুমের জানালা দিয়ে নিরব ও নিথর ঢাকা দেখি।আম্মা নিশ্চয়ই ঘুমে। ঘুমে থেকেও মায়েরা কি ছেলেদের কথা শুনতে পায়! অনেক বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি মায়েরাও ঘুমায়। ছোটবেলায় যখনই দরকার হতো দেখতাম মা সজাগ। আমি ঘুম থেকে জাগার আগেই মায়ের কণ্ঠ ভেসে আসত মিতু কি হয়েছেরে।
মাগো তোমাকে বলা হয় না কখনো, আজও মন খারাপ হলে তোমার কোলে, তোমার শাড়ির আচল ধরে শুয়ে থাকতে মন চায়।তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে মন চায়। মাগো জন্ম ঋণ কী দিয়ে শোধাব বলতে পার কি? উপলব্ধি: মানুষ যখন একা হয়ে পড়ে। কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকে না। তখন সে মায়ের কাছে ফিরে।
(নোট: লেখাটি সংক্ষেপিত।)
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬