না, আমি আসিনি ওল্ড টেষ্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে, দুর্বাশা নই
তবু, আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্তগোধূলীতে অভিশাপ দিচ্ছি
আমাদের বুকের ভেতরে যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ দিয়েছে সেঁটে
মগজের কোষে কোষে যারা পুঁতেছিলো আমাদের আপনজনের লাশ- দগ্ধ, রক্তাপ্লুত
যারা গণহত্যা করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়ে অধিক পশু সেই পশুদের;
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের দাঁড় করিয়ে নিমেশেই ঝাঁ ঝাঁ বুলেটের বৃষ্টি ঝরালেই
সব চুকেবুকে যাবে- তা আমি মানি না; হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে
ক্যাম্পাসে মাঠে বাজারে বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বিভৎস গন্ধ দিয়েছে ছড়িয়ে
আমিতো তাদের জন্য এমন সহজ মৃত্যু করিনা কামনা;
আমাকে করেছে বাধ্য যারা আমার জনক জননীর রক্তে বাধ ডুবিয়ে
দ্রুত সিঁড়ি ভেঙ্গে যেতে, ভাসতে নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেইখানে দজ্জালদের। অভিশাপ দিচ্ছি,
ওরা চিরদিন বিশীর্ণ গলায় নিয়ত বেড়াক বয়ে গলিত নাছোড় মৃতদেহ;
অভিশাপ দিচ্ছি, প্রত্যহ দিনের শেষে ওরা হাঁটুমুড়ে একটুকরো রুটি চাইবে ব্যাকুল
কিন্তু রুটির প্রসারিত থাবা থেকে রইবে দশ হাত দূরে সর্বদাই;
অভিশাপ দিচ্ছি, ওদের তৃষ্ণায় পানপাত্র প্রতিবার কানায় কানায় রক্তে
উঠবে ভরে; যে রক্ত বাংলায় বইয়ে দিয়েছে ওরা হিংস্র জোয়ানের মতো।
অভিশাপ দিচ্ছি, আকন্ঠ বিষ্ঠায় ডুবে ওরা অধীর চাইবে ত্রাণ, অথচ ওদের
দিকে কেউ দেবেনা কখনও একখন্ড দড়ি; অভিশাপ দিচ্ছি
স্নেহের কাঙ্গাল হয়ে ওরা ঘুরবে খ্যাপার মতো এপাড়া ওপাড়া
নিজেরই সন্তান প্রখরে ফিরিয়ে নেবে মুখ- পারবেনা চিনতে কখনও;
অভিশাপ দিচ্ছি, এতটুকু আশ্রয়ের জন্যে বিশ্রামের কাছে আত্মসমর্পনের
জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরবে ওরা প্রেতায়িত; সেইসব মুখের উপর
দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিটি কপাট;
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





