somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোহেল তাজের পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রী করনীয়

১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,
আপনি ইতিহাস টা একটু ভালো করে ঘেটে দেখুন আর ও একবার। স্বাধীনতার যুদ্ধের দীর্ঘ ৯মাস আশ্চর্য এবং অলৈকিক ক্ষমতার দক্ষতায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান তাজউদ্দীন আহমদে। কিন্ত দুর্ভাগ্য বলেন আর অভিমান বলেন বঙ্গবন্ধু কখনো সেই ইতিহাসটুকু তাজউদ্দীন আহমদের কাছ থেকে শুনতে চাননি, জানতে চাননি। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসেন এবং তাজউদ্দীন আহমদ নিজেই প্রধানমন্ত্রী থেকে সরে যান। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেন, এবং পরবর্তিতে মন্ত্রিপরিষদে তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রথম অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা তাজউদ্দীন আহমদের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আবার ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো। এবং তাদেরই কারনে ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদের ভেতরে একটা দূরত্বের সৃষ্টি হলো। এই দুরত্ব সৃষ্টি এতটাই বেড়ে গেল যার কারনে অনেকটা অভিমান করেই তখন অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দারান।বঙ্গবন্ধু তখন বাকশাল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলেন আর বঙ্গবন্ধুর এই বাকশাল গঠনের ঘোর বিরোধীতায় তিনি ছিলেন অন্যতম একজন এবং ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি একদিন বঙ্গবন্ধুকে ইংরেজিতে বলেছিলেন, "বাই টেকিং দিস স্টেপ ইউ আর ক্লোজিং অল দ্য ডোরস টু রিমুভ ইউ পিসফুলি ফ্রম ইওর পজিশন।" (এই পদক্ষেপ নিয়ে আপনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে আপনাকে সরানোর সব পথ বন্ধ করে দিলেন!)

তাজউদ্দীন আহমদের সেই কথাগুলো ছিল প্রায় দৈববাণীর মতো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পৃথিবীর নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলো , জেলখানায় হত্যা করা হলো হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। বাংলাদেশকে ঠেলে দেওয়া হয় একটি ঘোর অন্ধকার গহ্বরে।ঘাতকদের বুলেট তাজউদ্দীন আহমদের হৎস্পন্দনকে চিরদিনের জন্য থামিয়ে দিয়েছে, কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া রত্ন রেখে গিয়েছিলেন এই বাংলার বুকে। হয়তো তার অসম্পুর্ন কাজ গুলা সম্পন্ন করার জন্যেই।

বঙ্গবন্ধুর ও তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শ সৈনিক সোহেল তাজ কী অদৃশ্য কারণে মন্ত্রীর পদ ছাড়লেন, সংসদ সদস্যপদ ছাড়লেন তা উদঘাটন করলেন না। আপনি নাকি তাজের পদত্যাগে কষ্ট পেয়েছেন, আপনি নাকি তাঁকে আগলে রাখতে চেয়েছিলেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দীন আহমেদ ও একটা সময় বঙ্গবন্ধুকে তার বুকে আগলে রাখতে চেয়েছিলো, আগলে রাখতে চেয়েছিলো এই দেশটাকে। সেই আগলে রাখতে গিয়ে নিজেও ঘাতকদের হাত থেকে রেহায় পায়নি।

আপনি কি এই তরুন উদীয়মান নেতা সোহেল তাজকে আবার তার মন্ত্রিত্ব পদে ফেরত এনে, বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দিন যেইভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলো, সেই বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন না ? আপনি কি পারেন না সুশাসন ও সুস্থ রাজনৈতিক ধারা এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে ? আপনি কি পারেন না ঐ আবুল, কিংবা সাহারা কিংবা দরবেশ বাবা দের গেরাকল থেকে বেরিয়ে আসতে। এই তরুন প্রজন্ম আবার ও দেশ গরার যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত দেশটাকে আমাদের মতো গড়বো ঠিক যেমনটার জন্য ৩০লক্ষ ভাই শহীদ হয়েছিলো, মা-বোনরা দিয়েছলো তাদের স্বম্ভ্রম।

আমরা, এই তরুণ প্রজম্ম, এতোই অভাগা যাদের স্বাধীনতার চার চারটি দশক পরেও কোন নেতা পাই নি যেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×