বাবা-মা হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই আপনার সন্তানের পড়ালেখা নিয়ে বেশ চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন । আপনি চান আপনার সন্তান ভালো result করুক, ভালো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হোক এবং সর্বোপরি আগামী জীবনে সফলতা অর্জন করুক । আপনি কি এক বার ভেবেছেন, আপনার সন্তান আসলেই সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে কিনা? সে সবকিছু বুঝে পড়ছে কিনা? সকাল সন্ধ্যা হয়তো মুখবুঝে বই নিয়ে পরে আছে এবং নাবুঝেই মুখস্ত করে চলেছে কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এত পরিশ্রমের পরও ফলাফল মনমতো হচ্ছে না। তাহলে কি আপনার সন্তানের মেধার অভাব? না, তা নয় । স্রষ্টা সবাইকেই সমান মেধা দিয়ে পাঠিয়েছেন, কিন্তু মেধার সঠিক ব্যবহারই ক্লাসের ফার্স্ট বয় আর লাস্ট বয়ের ব্যবধান তৈরী করে দেয়। আপনার সন্তানদের যে যথেষ্ট মেধা আছে, তা আপনি খুব সহজেই পরিক্ষা করতে পারেন - তাদের কোন গল্পের বই বা সিনেমা দেখার জন্য বলুন এবং শেষে ঘটনা জিজ্ঞাসা করুন, দেখবেন খুব সুন্দর করে সব বলে দিতে পারবে । তাহলে বইয়ের পড়া পারে না কেন? কারন সে আসলে বিষয়গুলো বুঝতে পারছে না এবং মজাও পাচ্ছে না । বাবা-মার চাপাচাপিতে সে শুধু না বুঝে মুখস্ত করার চেষ্টা করছে। ভালো ভাবে শিখানোর জন্য আমারা শিক্ষক দিচ্ছি, সেটা আসলে হিতে বিপরীত হচ্ছে , তার উপর আর একটা ভয়ের বোঝা চেপে গেল । গৃহ শিক্ষক বা কোচিং শিক্ষকের চাপ তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আরও একধাপ কমিয়ে দিল । বনের পশুদের চাবুক মেরে মেরে সার্কাস এর জন্য তৈরি করা যায় কিন্তু তারা আসলে তাদের আসল রূপ ভুলে যায়। তাহলে এর সমাধান কোথায়? বইয়ের পড়াগুলোকে যদি ভিজুয়াল করা যায় তবে সেটা হবে সব চেয়ে ভালো উপায় । শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কে এবং মনের ভেতরে ক্রমাগত বয়ে চলা তথ্যের প্রবাহকে উন্নত করার একটি উপায়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী এই তথ্যগুলোকে এমন একটি কাঠামোর ভেতরে নিয়ে আসতে পারবেন যা সে সহজে বুঝতে ও বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হল কনসেপ্ট বা ধারণাগুলোকে ছবির মতো করে উপস্থাপন করা যাতে সহজেই তার মনে ভেসে ওঠে ধারনাটি।ওই যে বলেছিলাম সিনেমা দেখার কথা। সিনেমা কিংবা গল্পের বই পড়লে যেমন মনে থাকে তেমনি বিষয়গুলোকে একটি ছবি কিংবা মানচিত্রের মতো তৈরী করতে পারবে ।
সন্তানদের জন্য সব চেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছেন তাদের বাবা-মা , যখন সে কিছুই বুঝতে বা বলতে পারতোনা সেই কঠিন সময়ের শিক্ষা কিন্তু তারাই দিয়ে থাকনে। মমতা ভালাবাসায় তারা শিখে ভাষার মত কঠিন বিষয়, কখনো ক্লান্ত হয়নি, ভয় পায়নি । তাই বাবা-মা যদি সন্তানদের সাথে ১-২ ঘণ্টা প্রতি দিন সময় দেন এবং নিজে বসে থেকে পড়ান তাহলে তা হবে সন্তানদের জন্য আনন্দে শেখার অভিজ্ঞতা । যখন আপনি আপনার সন্তানকে পড়াবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার সন্তানের কোথায় সমস্যা হচ্ছে এবং সেই ভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবেন । এখন অনেক বাবা-মা বলতে পারেন, আমরাতো বইয়ের পড়াগুলো বুঝিনা তাহলে পড়াব কি করে? এখন এর সহজ সমধান হচ্ছে ভিডিও টিউটোরিয়াল, এগুলো আপনার সন্তানকে নিয়ে দেখুন যেখানে বুঝতে পারছে না সেখানে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন এবং সেই ভাবে তার সাথে আলোচনা করুন । দেখবেন সব সহজ হয়ে গেছে । দেখার শেষে তাকে বলতে বলুন সে কি বুঝল? সে যখন আপনাকে সেটা বলতে যাবে তখন তার সব পরিষ্কার হয়ে যাবে । এই প্রক্রিয়াতে যেমন পড়ালেখা শিখবে তেমনি বাবা-মার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যাবে , পড়ালেখাকে বোঝা নয় বরং ভালবাসবে ।পড়তে পারবে যখন ইচ্ছা তখন, যেখানে ইচ্ছা , যখন পড়ার ইচ্ছা হবে, কোন বাঁধাধরা নাই । তাহলে ভিডিও টিউটোরিয়াল কি ভাবে পাবেন? বাংলা মিডিয়াম এর জন্য সকল বিষয় পাবেন সনদ এর কাছ ওয়েবসাইট - https://goo.gl/ZkDKnX ।ইংরেজি মাধ্যমের জন্য ইউটিউব এ খুঁজে পাবেন অনেক কিছু । আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ হোক উজ্জ্বল ।