কিছুদিন আগে পত্র পত্রিকায় হরলিক্স এর প্রতারণার খবর ছাপা হয় যেখানে বলা হয়েছে যে ফলাও করে প্রচার করলেও আদতে হরলিক্সে কোন DHA নেই। যদিও এর আগেও বাচ্চাদের দুধ নিয়েও অনেক রিপোর্ট আসছে তবে পরবর্তীতে কোন যাদুর বলে আবার সব ঠিকও হয়ে গেছে কিন্তু আমরা অভিভাবকরা যেই শংকা সেই শংকার মধ্যেই রয়ে গেছি এবং নিজেরা নিজেদের বিবেচনা মত জিনিষ কিনে বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছি। এখানে আমার উদ্দেশ্য কারো পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি দাড় করানো না, শুধুমাত্র DHA নিয়ে কিছু বলা যাতে অভিভাবকরা তাদের দু:চিন্তা দুর করতে পারেন এবং বিকল্প কিছু ভাবতে পারেন।
প্রথমে যেনে নেই DHA কি এবং কোথায় পাওয়া যায়। Docosahexaenoic acid (DHA) হচ্ছে একটি ওমেগা-৩ ফ্যাট্টি আ্যসিড বা সোজা কথায় আমরা যাকে Omega-3 হিসাবে চিনি। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেমিক্যাল কম্পোজিশন নামে বা জটিল করে বলা হয় যাতে সবাই মনে করে কি না কি যা কোথাও পাওয়া যায় না বা দূর্লভ বস্তু। তবে ব্রেইন বা বুদ্ধি বিকাষে যে এর ভূমিকা বিশাল তা অনস্বীকার্য্য।
এখন আসুন দেখি বাড়তি Omega-3 আমরা কিভাবে শিশুর খাবারে সংযোজন করব। যেকোন সামুদ্রিক মাছেই কম বেশী ওমেগা-৩ থাকে তবে সহজলভ্য এবং সস্তা মাছের মধ্যে টুনা মাছে বেশী আছে। এছাড়াও আমাদের অতি প্রিও ইলিশ মাছে ওমেগা-৩ আছে। এছাড়াও প্রতিটি ওষুধের দোকানে কড লিভের ওয়েল পাওয়া যায় যা ওমেগা-৩ সম্পন্ন। ফ্লাক্স সীড ওয়েল (তিসির তেল), ওলিভ ওয়েল এও ওমেগা-৩ আছে এবং সরিষাড় তেলেও নাকি আছে। বাদাম বিশেষ করে গাছে উৎপন্ন বাদামে প্রচুর ওমেগা-৩ আছে এবং ডিমেও পাওয়া যায় কিছুটা। তবে কোয়েল পাখির ডিমেও প্রচুর পরিমানে আছে।
অতএব বুঝাই যাচ্ছে যে এটা আসলে একটা সহজলভ্য জিনিষ এবং হরলিক্স না থাকলেও চিন্তার কিছু নাই।
বিস্তারিত পাবেন এই লিংকটিতে
Here is the details about DHA from WikipediA
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩১