somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিমন রনবীর
প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছি প্রায় চার পাঁচ বছর। কতটুকু ইঞ্জিন আর কতটুকু মানবিকতা ধারণ করছি জানি না, তবে আরেকটু বেশি মানবিকতা জাগ্রত করার অবিরাম প্রচেষ্টায় আছি।আমার লিঙ্কডইন প্রোফাইলঃ http://bd.linkedin.com/in/sayemkcn

গোলাম আজম যে একজন ভাষাসৈনিক ছি্লেন তার স্বপক্ষে তথ্য প্রমান

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।

বহু কষ্ট নিয়ে আজ লিখতে বসেছি। আসলে লিখার মানসিকতাই নেই তারপরও লিখছি। কারন আমাদের মহান বিজয় দিবসে একজন মহান মুক্তিযোদ্ধাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে এর চেয়ে দুঃখজনক আর লজ্জাজনক বিষয় আর কি হতে পারে।

কি আমাকে প্রথমেই রাজাকার ভেবে বসে আছেন? ভাবছেন সবই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ষড়যন্ত্র?
ভাববেনই তো।
কারন আপনারা যে কুত্তালীগের পা চাটা কুত্তা। যে কোন কিছুই আপনাদের ভাবা মানায়।

হ্যা যা বলছিলাম। সকল তথ্য প্রমান নিয়েই আজ আমি হাজির হয়েছি। এটা আমার প্রথম টেকি পোস্ট। তবে বান্দর এডমিন এই পোস্টটাকে মহান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গোলাম আযমকে অপমান করার জন্য লুলটেক ক্যাটাগরিতে সরিয়ে দিয়েছে।এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।

প্রমান ১ঃ

মহান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক গোলাম আজমকে সহিহ প্রমান করার জন্য এ ধাপে আমাদের বেশ কয়েকটি জিনিসের দরকার হবে। সেগুলো লিস্ট আকারে দিচ্ছি।

১. খাতা
২. একটি কাঠপেন্সিল
৩. কালি
৪.মাথায় মগজ (অবশ্যই মানুষের, ছাগলের হলে চলবে না)

কার্যপ্রনালীঃ১

১.প্রথমে কাঠপেন্সিলটি পেন্সিল কাটার দিয়ে ভাল করে কেটে নিতে হবে।
২. খাতা বের করে পেন্সিল দিয়ে অধ্যাপক গোলাম আজমের বিরুদ্ধে কিছু লিখার চেষ্টা করুন। বেশী ভাল হয় যদি তিনি যে রাজাকার সেটা প্রমান করতে গিয়ে কিছু লিখেন।

পর্যবেক্ষনঃ১
কি কিছু লিখতে পারলেন না তো?
আচ্ছা ধরে নিলাম আপনি কিছু লিখতে পেরেছেন। এবার ভাল করে তাকিয়ে দেখুন লিখার দিকে। কি দেখলেন? লিখা অস্পষ্ট?নুরানী ঝলক দিচ্ছে না?

দেখলেন, সত্যের জয় একদিন হয়ই। অধ্যাপক ডঃ গোলাম আজম যদি রাজাকার হতেন তবে তার বিরুদ্ধে লিখা আপনার রচনাটি নুরানী ঝলক দিত।কিন্তু এখন ভাসা ভাসা দেখাইতেছে। এতএব তিনি ভাষাসৈনিক ছিলেন।

কার্যপ্রনালীঃ২

১.এবার আপনি খাতা ভাঁজ করে সবটুকু কালি ঢেলে দিন। এতে খাতাটি ভিজে যাবে।
২.ভেজা খাতাটি আপনি দুই হাতের তালুতে নিয়ে ভাল করে ঘষুন। এতে একটি কালো রঙের মন্ড তৈরী হবে।
৩.এবার অল্প একটু পরিমান ছিড়ে নিয়ে দুই হাতের তালুতে নিয়ে গোলাকৃতির মত করুন। তবে পুরো গল না করে একটু এদিক সেদিক করলে ভাল হয়।
৪.এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। এতে কতগুলো কাল রঙের বুডুলির মত তৈরী হবে।অল্প অল্প ভেজা ভেজা বুডুলি।

পর্যবেক্ষনঃ২

১. এবার এক পিস এক পিস করে নাকের সামনে নিয়ে শুঁকতে থাকুন। কি এগুলোর মধ্যে কোনটা থেকে কি ছাগলের লাদির গন্ধ বের হয়?
হয়না।
এ থেকে বোঝা যায় অধ্যাপক গোলাম আজম কোনকালেই ছাগু ছিলেন না। এতএব তিনি নিঃসন্দেহে ভাষা্সৈনিক ছিলেন।


এ তো মাত্র একটা প্রমান। এরকম হাজার হাজার প্রমান আমি দিতে পারি।কিন্তু আমি জানি কিছুতেই কুত্তালীগের ছেলেদের এতে মন ভরবেনা।এমনকি একটা ছোট হরতাল দিয়েছিলাম সেটাও বাকশাল সরকার অগনতান্ত্রীক উপায়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সফল করতে দিল না। কিন্তু আমাদের এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। মহান মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আজমের পুটুতে ডিম দেয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত কিছুতেই এই বাকশাল সরকার আমাদের সংগ্রাম বন্ধ করতে পারবেনা। এই ভাদাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করতে চাই। তাই দলে দলে আমাদের আমাদের সাথি ভাই হিসেবে যোগ দিয়ে হিসেবে অশেষ নেকী হাছিল করুন। মাওলানা সাঈদী সাহেবই আমাদের হাবিয়া দোজখের হাত থেকে বাঁচাবেন এনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬
৯৯টি মন্তব্য ১০১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×