১। রাহুগ্রাস
কিছুইতো দেখানোর নেই
যা ছিল স্ফূরণ তোড়জোড়
------------------ নাগাড়া
একদিন বাজিয়ে শুনিয়েছি
হাড়কাঁপা শীতে খালি পায়ে
দাপিয়ে বেড়িয়েছি তৃণাঞ্চল।
তখন বলিষ্ঠ ছিল পায়ের গোড়ালী
বুকের রোমে ভাসমান মাদুলী
সিংহাসনে ছিল কলধ্বনি
বিপুল করতালির ভিতর
রণক্ষেত্র কাঁপাতে কাঁপাতে
হারতে হারতে জিতে এসেছিলাম
মরতে মরতে ছিনিয়ে এনেছিলাম
রূপকথার প্রদীপ শিখা।
এখন এই অবেলায় বৈরী বাতাস
ছিন্ন সময়ের শিরে শুধু রাহুগ্রাস।
২। রাত্রি দু'টো
দু'কলম লেখার খায়েসে রাত্রি দু'টো
খেটে খুটে খাবার জোটে না এক মুঠো
গায়ে গতরে শুধু ব্যর্থতার কালি
হজম করি নিত্য প্রহসনের বুলি
দানা বাঁধে দিনে দিনে দৈন্যতার ঘর
ঘর ছেড়ে বার হই ঘর হয় পর
পথে আমি হাঁটি আর একলা বকি
সুসময়ে থাকে কত সুদর্শন সখাসখী
আজ ভাবী কাল হোক কাল ভাবী পরশু
স্বপ্নের সাত ঘরে সাত জনমের শ্মশ্রু
এই কাজ সেই কাজ কত কাজ আছে
গৃহহীনে গৃহ দিলে প্রাণটা তবু বাঁচে
কত জনে কত গৃহ ঈশ্বরই তো দিলেন
কত জনকে সুসংগত পার করিলেন
আমার ঘরটি তুমি দাওনা যত ক্ষুদ্র
সামনে যেন থাকে এক সুনীল সমুদ্র।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২