শুধু তাই নয়- সে দেশের মানুষ অগ্নিকে আদর করে নূর বলে ডাকে। তারা বলে- একখণ্ড নূর-ই নাকি বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের যত কীর্তি। মাতা পিতা ভূখণ্ড গ্রহ তারা রবি নবী রসুল আল্লা কিংবা ঈশ্বর ইত্যাকার সব কিছুর মূলেই সেই অগ্নি...
এর পরও সে দেশের মানুষ আগুনের উপাসনা করে না, বরং অগ্নিজাত মানুষ ভজনা করে। তারা বলে- মানুষই আদি ও আসল আগ্নেয়। কেননা, একমাত্র এই মনুষ্য দেহ-ই মাটি পানি বায়ু আর নূরের লীলা জানে। আর মানুষকে দিয়েই এই অনন্য ভুবন গড়া হয়েছে।
অবশ্য তারা একথাও স্বীকার করে- এই বিশ্ব-ভুবনের মধ্যে আরেকটি নতুন ভুবন গড়ে তুলছে অগ্নিজাত মানুষই।
আমি সেই দেশ ঘুরে এলাম- যে দেশ এই দেশ থেকে মোটেও দূরে নয়। বরং এই দেশের গভীরে আছে প্রাণবন্ত সেই দেশ- তাকে দেখতে হলে মিথ্যে আগ্নেয় অস্ত্র ফেলে সত্যিকারের আদি ও আসল আগ্নেয় মানুষে মিশে যেতে হয়।
এই দেশে অস্ত্র হচ্ছে সাধুর সুমিষ্ট বাণী। বন্ধু হচ্ছেন নানা আর নানী।
আমি সেই দেশ থেকে ঘুরে এলাম- যেখানে অস্ত্র হচ্ছে ঢোলকের টঙ্কার আর মন্দিরার ঝঙ্কার।
এক বংশি বাদকের গল্প সেই দেশের সবাই জানেন- যিনি সেই দেশে লীলা রস বিস্তার করেছেন এবং প্রাসাদে বসতে লীলা রস থেকে সুদূর মথুরা নগরে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।
আমি সেই দেশ থেকে ঘুরে এসে আবার সেই দেশে ফিরে যাচ্ছি...