আমি যখন প্রথম কুয়ালালামপুরে আসি তখন শপিংমলগুলো প্রচুর পরিমাণে পলিথিন ব্যাগ (এরা বলে প্লাস্টিক/প্লাস্টিক ব্যাগ) দিত জিনিসপত্র বয়ে নেবার জন্য। কোন দাম রাখত না। প্রধান শপিংমলগুলো যেমন টেস্কো, জায়ান্ট, আয়েয়ন, হানিফা, লুলু, মাইডিন, এনএসকে গ্রাহকদেরকে অঢেল পলিব্যাগ ধরিয়ে দিত।
ইদানিং কোন শপিংমলের পেমেন্ট কাউন্টারে দাড়ালে কর্তব্যরত ব্যক্তিটি জানতে চান প্লাস্টিক লাগবে কিনা। কেননা, পাতলা একটি পলিথিন ব্যাগের দাম রাখে ২০ মালয়েশিয়ান সেন যার বাংলদেশী টাকায় পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ টাকার উপরে।
এই ব্যাগ বাসায় নেবার পথেই ফুটো হয়ে যায়। আবার কম আয়ের মানুষরা এতো টাকা অপচয়ও করতে চায় না। তাই তারা সাথে করে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে আসে সওদা রাখার জন্য। প্রায় সবাই গাড়ী ব্যবহার করে বলে এই সব ব্যাগের তেমন কোন কাজও নেই চুপচাপ শুয়ে থাকা ছাড়া।
মানুষ এখন পলিব্যাগ কম ব্যবহার করছে। কোন কোন মলে আবার বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ চালু করেছে যা দ্রুত মাটির সাথে মিশে যেতে পারবে। পরিবেশ বাঁচানোর কাজে সবাই অংশ নিতে শুরু করেছে। এটা খুবই একটা ভালো দিক। সবার আগে পরিবেশ সুন্দর রাখতে হবে। বিশ্বকে সুন্দর রাখতে হবে। এই পৃথিবী সবার। এর যত্ন নেয়া সবার দায়িত্ব।