somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন
আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

১৭৫০ টাকার বই কিনলাম মাত্র ৩০০ টাকায়!***************************

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু বই কেনার দরকার ছিল। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে বাইরে বের হতে সাহস হয়না বলে এক মাস ধরে কিনি কিনি করেও বইগুলো কেনা হচ্ছিল না। শুক্রবার-শনিবার নানা কাজ থাকায় আয়োজন করে বই কিনতে যাওয়া হয়ে উঠে না। বেশীর ভাগ সময় শুক্র-শনিবার বাসার নানান টুকটাক কাজ, বাজার সদাই করা, কোচিং যাওয়া ইত্যকার নানান ঝামেলা করতে করতে বই কেনা আর হয়ে উঠে না।

অবশেষে শনিবার (২৫ শে নভেম্বর ২০২৩) ঠিকই সময় ম্যানেজ করে ফেললাম। ঠিক করলাম বাসা থেকে সিটি কলেজ কিংবা সায়েন্স ল্যাবের সামনে নামবো। সেখান থেকে এলিফ্যান্ট রোডের কিছু দোকান থেকে শুরু করে নীলক্ষেত গিয়ে নিউমার্কেট হয়ে বাসায় ফিরবো।

২টি রিক্সার চালককে জিজ্ঞেস করলাম তারা যাবে কিনা। তারা যাবে না। তারা না যাওয়াতে আমি বরং খুশী। রিক্সাকে আমার কাছে খুবই অমানবিক পরিবহন মনে হয়। রিক্সায় আমার সব চেয়ে বড় সমস্যা আমি হাল্কা মানব (ওজন মাত্র ৪৭ কিলো) হওয়াতে রিক্সার ঝাকুনীতে ছিটতে পরে যাই। তবে আজকাল আবার ব্যাটারী চালিত রিক্সা বের হয়েছে যা আরো মারাত্বক। তাতে না আছে ব্রেক, না আছে স্পিড কমানোর ব্যবস্থা।

সিএনজি নামক যে গাড়ীখানা আছে তা আরো অস্বাস্থ্যকর। প্রচুর ধূলাময় ভেতরটা। জ্যামে পড়লে সামনের সব গাড়ীর ধোঁয়া এসে ভরভর করে সিনএনজি পূর্ণ করে ফেলে। মনে হয় হাবিয়া দোজখে এসে পড়েছি। তারপরও ঢাকা শহরে সিএনজি আছে বলেই না এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারছি। কেননা, ঢাকা শহরে সপরিবারে চলাচল করার মতো কোন ভালো নেই। উবার নামক যা সার্ভিস যা আছে তা কেবলই বিরক্তির উদ্রেক করে। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত চলে এলাম।

দেড় দশকেরও বেশী সময় পরে এই এলাকার মার্কেটে এলাম। দোকানীদের ডাকাডাকি, হাক ডাক সবই আছে আগের মতো। কেবল জিনিসপত্রে দাম গেছে অনেক বেড়ে। এক জুতার দোকানে কন্যার জন্য কেডস কিনলাম। দোকানী বলল- আপনার একটা স্ক্র্যাচকার্ড আছে। তুলে নিন। তুলে নেয়ার পর দেখা গেল এক জোড়া চটি ফ্রি । খারাপ কি।

এর পর নানান দোকান দেখতে দেখতে আসল জায়গায় গেলাম। কিনবো বই। আগেই জেনে নিয়েছি কিভাবে কিনতে হয়। ঢাকা শহরের সব জায়গার মতো এখানেও প্রচুর দামাদামি করতে হয়। প্রথম দোকানে এক চাচা বসা ছিলেন। তাকে বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন- তিনি বেশী দামাদামি করবেন না। এক দাম ১০টা বই ৩০০ টাকা। নিলে আমার কাছে আসবেন। আমি মনে মনে ঠিক করলাম- কোথাও না পারলে এই চাচার কাছ থেকেই কিনবো।

পরের দোকানে গিয়ে দেখি দুই স্মার্ট বয় । আমাকে পেয়ে যেন তারা আবাল মক্কেল হাতে পেল। দুমদাম বই রেডি করে ফেলল। এবার দামের কথায় আসতেই বলেন- প্রতি পিস ২০০ টাকা করে বিক্রি করি। আপনি আমাদের কাছে স্পেশাল কাস্টমার। তাই আপনাকে প্রতি বইয়ে ২৫ টাকা ডিসকাউন্ট দিচ্ছি। ১০ টা বইয়ের দাম হবে ১৭৫০ টাকা। সাথের বাকি ২টা বইয়ের দাম ১০০০ । আপনার জন্য মোট ২৭৫০ টাকা মাত্র।

আমি বললাম- আপনি যদি রাগ না করেন তাহলে আমি কি একটা দাম বলবো?
জ্বি, বলেন।
পরের ২ টা বই বাদ দিন। আমি ১০ টা বই নিব। আমি ২৫০ টাকা দিব। বাকিটা আপনার বিবেচনা।
দোকানী অবাক কিংবা হতবাক । মক্কেলকে সম্ভবত ঘায়েল করতে পারেনি বলে মন খারাপ। তাই জোরে জোরে বলতে লাগল- আপনে বই কিনতে পারবেন না। আপনার জন্য বিদেশ না। আপনি মায়ানমার যাবার বই কিনেন!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুমি অথবা শরৎকাল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১০


রোদ হাসলে আকাশের নীল হাসে।
গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ দল ব্যস্ত হয়ে
দূর সীমাহীন দিগন্তে ছুটে।

লিলুয়া বাতাসে তোমার মুখে এসে পড়া চুল আর
ঢেউ খেলানো আঁচলের সাথে—
কাশবনে সব কাশফুল নেচে যায়।
নিভৃতে একজোড়া অপলক... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....

সেই ষাট সত্তর দশকের কথা বলছি- আমাদের শিক্ষা জীবনে এক ক্লাস পাস করে উপরের ক্লাসে রেজাল্ট রোল অনার অনুযায়ী অটো ভর্তি করে নেওয়া হতো, বাড়তি কোনো ফিস দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন্দির দর্শন : ০০২ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি পূজা মন্ডপ ও নাচঘর বা নাট মন্দির

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের জমিদার বাড়িগুলির মধ্যে খুবই সুপরিচিত এবং বেশ বড় একটি জমিদার বাড়ি। পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি সম্পর্কে একটি লেখা আমি পোস্ট করেছিলাম সামুতে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কলকাতা থেকে রামকৃষ্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদিন সবকিছু হারিয়ে যাবে

লিখেছেন সামিয়া, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



একদিন সবকিছু ফিকে হয়ে যাবে,
সময়ের সাথে হারিয়ে যাবে স্মৃতি।
মনে থাকবে না ঠিক ঠাক কি রকম ছিল
আমাদের আলাদা পথচলা,
হোঁচট খাওয়া।
মনে থাকবে না
কাছে পাওয়ার আকুতি।
যাতনার যে ভার বয়ে বেড়িয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে না'ফেরা অবধি দেশ মিলিটারীর অধীনে থাকবে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯



একমাত্র আওয়ামী লীগ ব্যতিত, বাকী দলগুলো ক্যন্টনমেন্টে জন্মনেয়া, কিংবা মিলিটারী-বান্ধব।

আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ অনেকটা সমর্থক শব্দ ছিলো: বাংলাদেশ ব্যতিত আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই, আওয়ামী লীগ ব্যতিত বাংলাদেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×