বর্তমানে বাংলাদেশের লোকসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। এই বিশালাকনা জনগণকে পাগল বানিয়ে ফেলেছে অতি ক্ষুদ্র মশকের দল। রাতের ঘুম হারাম করে দেয় তারা ডেঙ্গি রোগ ছড়িয়ে করোনার সেই ভয়াবহ সময়কে ফিরিয়ে আনার মহা পায়তারা করে। এই মশক কুলের কাছে আমরা মানব জাতি যেন সত্যি বড় অসহায়। অথচ সামান্য চেষ্টা করলেই মশক নিধন করা সম্ভব। কিভাবে ? সেটা বলার জন্য এই স্টেটাসের অবতারণা।
কবি বলেছেনঃ“ একতাই বল। অর্থাৎ সবাই মিলে এক সাথে সাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জাতি হিসাবে আমরা ১৯৭১ সালের পর খুব বেশী একটা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এটা বলা যাবে না। কিন্তু মশক নিধন ইস্যুতে আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই । সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে প্রতি দিন কোটি কোটি মশক বিনাশ করা অসম্ভব কোন বিষয় না।
২০ কোটি মানুষের মধ্যে যদি অন্তত ১০ কোটি লোকও মশা মারার কাজে অংশ নেয় এবং প্রতিটি লোক প্রতিদিন দুইটা করে মশা মারে তাহলে প্রতি দিন ২০ কোটি মশা হত্যা করা সম্ভব। প্রয়োজন কেবল সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ।
আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে প্রতি দিন একটি করে মশা মারা হলেও বেশ কিছু দিন পরে দেখা যাবে এদেশে মারার জন্য কোন মশাই খুঁজে পাওয়া যাবে না। মশকরা যত ভয়ঙ্কর প্রাণীই হোক না কেন মানুষের চেয়ে ভয়ঙ্কর নয়।
কিছু কিছু প্রাণী আছে যে প্রাণী গুলো স্বভাবগত কারণেই মশা খেয়ে থাকে। এই প্রাণী গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাঙ, টিকটিকি , মাকড়শা
ও কিছু বিশেষ প্রজাতির মাছ। ঢাকা শহরে ব্যাংঙ ও মশা খাদক মাছের প্রচলন করা দরকার। এই প্রাণী গুলো নীরবে মশা হত্যা করে মশক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অতএব আসুন, সবাই মিলে আজ থেকে মশক নিধনযজ্ঞ শুরু করি। দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখি।
গণপিটুনি দিয়ে মানুষ না মেরে গণপিটুনি দিয়ে মশা মারুন। দেশ ও জাতির অশেষ কল্যাণ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬