somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নস্টালজিয়াঃ বটিয়া, আমার গ্রাম আমার স্বর্গ*************************

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে গ্রামে আমার জন্ম সে গ্রামের নাম বটিয়া। বটিয়া নামটির অর্থ আমি জানি না। তবে আমার ধারণা, সারা পৃথিবীতে বটিয়ার মতো সুন্দর জায়গা আর দ্বিতীয়টি নেই। অনেক খুঁজে খুঁজে দেখেছি। কিন্তু পাইনি।

ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত এ গ্রামটি। দোহার থানার সামনের চৌরাস্তার মোড় থেকে ৫ টাকা (২০০৭ সালে আমি যখন চলে আসি তখন ৫ টাকাই ভাড়া ছিল। এখন কত হয়েছে আমি জানি না।) রিক্সা ভাড়া দিলেই এ গ্রামে নিয়ে যাবে। এখন তো আর আগের মতো রিক্সা নেই। অটোরিক্সা আর ইজি বাইকই এখন নাকি সবার ভরসা।

বটিয়া গ্রামটিতে ঘরবাড়ি ছাড়া বলতে গেলে তেমন কিছুই নাই। খালি মানুষ আর মানুষ। সরকারী একটি প্রতিষ্ঠান আছে তার নাম বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমার ভাবতে ভাল লাগে যে, আমি আমার গ্রামের স্কুলে আমার প্রথম পাঠ নিয়েছিলাম। আমি আমার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করি জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। এসএসসি পাস করার পর যত আড্ডা দিয়েছি তার বেশীর ভাগই এই স্কুলের মাঠে বসে। সেটাও আমার এক অতি প্রিয় স্থান।

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এখন আর আগের মতো গ্রামে থাকা হয়না। যাওয়া হয় না খুব একটা । তবে এখনও আমি প্রচন্ড মিস করি আমার গ্রামকে। আমার কৈশরের প্রথম পাঠ লাভ করি যেখানে সেই বিদ্যালয়কে। নিজের অজান্তেই মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।

ইস্ আবার যদি আমি সেই বাল্যকালে ফিরে যেতে পারতাম! সেই বর্ষাকাল । বর্ষার বাদল দিনে কত কষ্ট করে নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলায় চেপে খাল পার হয়ে স্কুলে যাওয়া। কাঁচা রাস্তায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে ভিজে পিছলে পড়ে যাবার যোগাড়। পরনের লুঙ্গি পেচিয়ে হাতে বই চেপে ধরে কত কষ্টেই না স্কুলে যেতাম। উদ্দেশ্য একটাই ১০০% উপস্থিতির পুরস্কারটা পাওয়া। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিবৃতে ভিজে নবম শ্রেণীতে ১০০ % উপস্থিতি ছিল আমার ক্লাসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর কোন কাজে লাগেনি। এটা বড়ই দুঃ খের কথা

দুর্ভাগ্য সে বছর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসবে সেরা উপস্থিতির পুরস্কার নামে কোন পুরস্কারই রাখা হয়নি।

আমি এখন মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, পুরস্কার অবশ্যই থাকা উচিত। সেটা সামান্য একটা কলম হতে পারে। সুন্দর একটা বই হতে পারে সেরা পুরস্কার। এই বোধ আমাদের জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন।

পুরস্কার না পেয়ে কি যে খারাপ লেগেছিল সেদিন!
আফসোস!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×