আমাদের দেশের বলতে গেলে বেশিরভাগ মানুষের খুব কমন একটি বিষয় একটু খেয়াল করলেই যে কারো চোখে পড়বে। সৌজন্য প্রকাশ সূচক কিছু শব্দ আছে যেগুলোআমাদের দেশের মানুষ পারতপক্ষে কখনই ব্যবহার করতে চায় না কিংবা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নয় কিংবা ব্যবহার করতে সচ্ছন্দ বোধ করেনা।
প্লিজ, সরি, মাফ করবেন, ধন্যবাদ এই জাতীয় শিষ্টাচার বা এটিকেট (Etiquette) সমৃদ্ধ শব্দগুলোর ব্যবহার করতেই চায় না। এটা কি আমাদের দৈন্যতা নাকি আমরা অতটা উদার নই। যদি তাই হয় তাহলে কিন্তু খবর আছে। চলনে বলোনা শিষ্টাচারের কোন বিকল্প নেই আমাদেরকে বিনয়ী হতে হবে সর্বত্র।
প্রাত্যহিক জীবনে এই শব্দগুলোর প্রয়োজনীয়তা অসীম। যেমন অচেনা কোন মানুষের কাছে কোন কিছু জানতে চাইলে – সরি বলে শুরু করতে হবে। ছোটখাট কোন ভুল করলে সে ক্ষেত্রেও সরি বলা দরকার। অথচ আমরা বলি না।
প্লিজ বলার অভ্যাস আমাদের নাই বললেই চলে। অথচ এই সামান্য শব্দটি ইন্টারপারসোনাল কম্যুনিকেশনকে খুবই সহজ ও আন্তরিক করে তুলতে পারে। তাই আমাদের উচিত যত বেশী সম্ভব প্লিজ বলা। এতে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে। যে কোন ধরনের ভুলত্রুটি এড়িয়ে যাওয়া যাবে।
যে কোন সেবা নেয়ার পর ধন্যবাদ বলার অভ্যাস আমাদের নেই বললেই চলে। কারো উপর সন্তুষ্ট হলে তাকে ধন্যবাদ দেয়াটা একটা সাধারণ রীতি। অথচ এই সামান্যতম সৌজন্যটুকু আমরা করি না বা করতে চাই না।
উপরে যে শিষ্টাচার বা এটিকেট (Etiquette)-গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো সামান্য ইচ্ছে করলেই আমরা অনুসরণ করতে পারি। অথচ আমরা এটা করছি না। সেটা কেন করছি না তা জানারও চেষ্টা করছি না।
আফসোস!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৮