মানুষের নানা আলোচনা আর সমালোচনার পরও এখনো অনেক কিছুর বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক অনেক দেশের তুলনায় অনেক অনেক ভালো আছে। এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম দামে দেশে শাক-সবজি কিনতে পাওয়া যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি হওয়ায় প্রচুর উর্বর কৃষি জমিতে বালু ফেলে সেখানে বানানো হচ্ছে- দালানকোঠা, ঘরবাড়ি।
এখনো ব্যবসায়ীরা গলা না কাটলে এই দেশেও অনেক কম দামে বাজার সদাই করা যায়। জামাকাপড়ের দামও খুব বেশী নয়।
২০/৩০ টাকা হলেই রিক্সায় উঠে ঝটপট যাতায়াত করা যায় অনায়াসে।
মানুষ জন অনেক প্র্যাক্টিক্যাল হয়ে গেছে। আবেগ কমে গেছে। কিন্তু তাপরও এখনো এখানে মানুষ একে অপরের দুঃখে হাউমাউ করে কাঁদতে পারে।
এটাই বাংলাদেশে। এই বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
আজকের বাংলাদেশের বেশীর ভাগ সমস্যার মূলে আয়তনের তুলনায় অতিরিক্ত মানুষ। এতো ছোট্ট ভূখন্ডে এতো বেশী মানুষ থাকার নজির সারা দুনিয়াতে আর নাই। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপরে কোন নিয়ন্ত্রণ নাই বললেই চলে।খেলা রাম খেলে যা স্টাইলে বেড়েই চলেছে জনসংখ্যার ভারও ঘনত্ব।
পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর দাম বিগত এক বছরে ২ গুণ বেড়েছে। ডবল টাকা পয়সা খরচ করে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করতে আগ্রহ হারাবে অনেকেই। কার ঠেকা পড়েছে পকেটের নগদ টাকা খরচ করে ঝামেলা পোহানোর ! হায়াত মৌত আল্লাহর হাতে। রিজিকও তার হাতে। অতএব কি আর করা...।
মানুষ সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। দরকারী কেনাকাটা করতে জান বের হয়ে যাচ্ছে কারো কারো। যেখানে অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে অহেতুক খরচ করে কে যাবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করতে!
তারপরও কারো কারো মধে একটা আশংকা থাকে। অজানা একটা আতঙ্ক ঘিরে ধরে অবচেতন মনকে।
এই দেশের লোকসংখ্যা যখন ২৫ কোটি হবে তখন কি হবে! কিংবা যখন ৩০ কোটি, ৪০ কোটি কিংবা ৫০ কোটি?!
অনেক অনেক সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা ও বিবেচনা করলে এটা খুব ভাবনার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬