ঢাকায় এখন কম করে হলেও ৩/৪ কোটি মানুষ বসবাস করে। এতো বেশী মানুষ যে রাস্তায় হাটাই দায়। গাদাগাদি করে চলাচল করছে বিরাট সংখ্যক মানুষ। এই বিরাট সংখ্যক মানুষের অর্ধেক হলেও তাদের নানাবিধ কাজের জন্য ঘরেই বাইরে যেতে হয়। তাদের চলাচলের জন্য ভালো কোন বাহন নেই।
বাইরে গেলে তাদের অবধারিতভাবে পরিবহন লাগে। এই সব পরিবহনের মধ্যে দূরের যাত্রার জন্য প্রয়োজন বাস। অথচ এই বাসের মাঝেই আছে নানান ধরনের ঝামেলা। এতো বেশী ঝামেলা যে মানুষ যারা বাসে যাতায়াত করেন তাদের উপর যে কত ধরনের অত্যাচার চলে সেটা ভাবলেই অবাক হতে হয়।
ঢাকা শহরের বাসগুলোতে যে পরিমাণ মানুষ বসে যাতায়াত করতে পারেন তার চেয়ে বেশী পরিমাণে যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করেন। বাসের ভেতরে যে জায়গাটিতে যাত্রীরা দাঁড়ান সেই জায়গাটি আসলেই অনেক সংকীর্ণ। গাদাগাদি করে যাত্রীরা যদিও দাঁড়াতে পারে কিন্তু নড়াচড়া করতে পারে না। এমনকি হেলপার যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়ার টাকাও আদায় করতে পারে না। পিছনের যাত্রীরা কোন স্টেশনে নামতে গেলে অনেক কষ্টে নামতে পারে। অনেক সময় জামাকাপড় ছিড়ে যাবার উপক্রম হয়। কখনো বা জামা কিংবা প্যান্টের বোতাম ছিড়ে পরে যায়।
আমি বাসে উঠলে লালমাটিয়া সিটি হাসপাতালের সামনে নামি। তবে বেশীর ভাগ সময়ই আমি নামতে ব্যর্থ হই। বেশীর ভাগ সময়ই আমাকে নামতে হয়েছে আল্লাজ করিম মসজিদের সামনে গিয়ে। তার আগে নামার চেষ্টা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। কেননা, অত মানুষ ঠেলে বের হতে পারি না। বের হবার সময় মানুষ চূড়ান্ত রকমের বিরক্ত হয়।
এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কেউ কখনো ভাবে না। বাসের মাঝের চলাচলের পথটি কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি প্রসারিত করলেই মানুষ একটু সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। বাসগুলোর ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন করলেই এটা করা সম্ভব।
ঢাকার বাসরুটগুলোতে কম হলেও একটু ভালো ও এসি বাস দেয়া দরকার। এটা থাকলে অনেক মানুষই সপরিবারে যাতায়াত করতে পারে। বাসে কোন ভালো ব্যবস্থা না থাকাতে সিএনজিওয়ালারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে নেয়। মানুষের বিকল্প কোন ব্যবস্থা থাকলে সিএনজিওয়ালারা স্বেচ্ছাচারীভাবে ভাড়া আদায় করতে পারবে না।
ঢাকায় প্রচুর প্রাইভেট গাড়ী বের হয়েছে। কম দামে গ্যাস দেয়াতে প্রাইভেট গাড়ী দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। অথচ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য ভালো কোন বাস সার্ভিস আসছে না।
মানবতাবাদী কোন বাস মালিক কি এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮