ফেলনীর লাশ সাড়ে চার ঘন্টা এভাবেই ঝুলে ছিল ভারতের সার্বভৌমত্বের নিরব সাক্ষি হয়ে
বি, এস , এফ আবারও বাংলাদেশীকে হত্যা করলো । কেউ কেউ নির্লজ্জ ভাবে সেই হত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে, কেউ বা দাবি করছেন বি,এস,এফ কে প্রকাশে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেও তবে? হাজার হাজার মানুষকে হত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা - আই সরি , ভুল হয়ে গেছে। ব্যাস হয়ে গেলে অপরাধের প্রাশ্চিত্ত। আবার মারবো , আবার বলবো সরি। আবার মারবো, আবার বলবো। এত কষ্ট করার চেয়ে বি, এস, এফ সীমান্তে একটা সাইনবোর্ডে সরি লিখে টানিয়ে দিক।
হ্যাঁ বি,এস,এফ এর চেয়ে আমি বা কম কিসে? এখন ফেলনীর নামে ব্লগ লিখছি , কতদিন উচ্চবাচ্য করবো, তারপর ভুলে যাব। ফেলনীর পর সিরাজুল , সিরাজুলের পর জাইজুদ্দিন, জাইজুদ্দিনের পর ..... চলেতে থাকবে। আর বার বার আমিও ভুলে যাব। তাই আজ এই ব্লগ ফেলনীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লিখছি।
আধা ঘন্টা ধরে বোনটা আমার পানি পানি করে মারা গেলো , ভাই হয়েও পারলাম না তার মুখে একটু পানি তুলে দিতে ; বোন আমায় ক্ষমা করো।
সাড়ে চার ঘন্টা ধরে বোনটা আমার কাটাতারে ঝুলে রইলো, ভাই হয়েও পারলাম না তার লাশটা নামিয়ে আনতে ; বোন আমায় ক্ষমা করো।
বি,এস , এফ এসে আমার বোনের লাশ নিয়ে গেলো , ভাই হয়েও আমি চেয়ে চেয়ে দেখলাম;বোন আমায় ক্ষমা করো।
তোমার মৃত্যু বৃথা যাচ্ছে ফেলোনী, বোন আমায় ক্ষমা করো।
ক্ষমা প্রর্থনা নয় , চাই হত্যা বন্ধের নিশ্চয়তা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৫২