somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

B:-) মানব দেহঃ বিষ্ময়কর যন্ত্র

৩০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীর সবচেয়ে বিষ্ময়কর যন্ত্র হল মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানব শরীর যার ক্ষমতার পরিধি আজও বের করা সম্ভব হয়নি। ঠান্ডা গরম অনুভুতি, এক পলকের একটু দেখা সারা জীবনে স্বরনে রাখা। মানব শরীরের কয়েকটি নিদর্শন নিয়ে আরও কিছু কথা হোক।

Brain এর কিছু কথা:-
আমাদের Brain দশহাজার কোটি Neuronনামক Cell দ্বারা গঠিত যার একটি Cell আর একটি Cellএর সাথে যুক্ত থাকে প্রায় একশো কোটি Glia দ্বারা। Brain এ কোন কোন Chemical reaction ঘটতে সময় লাগে ১ সেকেন্ড দশ লক্ষভাগের এক ভাগের চেয়েও কম সময়। øায়ুতন্ত্রের ভিতর যে Impulse বা সংকেত চলে তার গতি ঘন্টায় ১৮০ মাইলেরও বেশী ।
আঠারো বছর বয়সের পর Brain প্রতিদিন কিছু কিছু করে কোষ হারায় যার কারনে এর ওজন কমতে থাকে।
আমাদের Brain এর ওজন প্রায় ১৫০০ গ্রাম এর মত কিছু CSF নামক তরল পদার্থে Brainথাকার কারণে এর ওজন অনুভূত হয় মাত্র ৫০০ গ্রাম। তা না হলে যা বয়ে নিয়ে বেড়ানো আমাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হতো।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল সকল অনুভব , অনুভূতি Brainদ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও Brainএর কোন Nerve ending না থাকায় Neurosurgery তে কোন রকম অ্যানস্থেসিয়া ছাড়াই কাটা ছেড়া করা যায় ।


চোখের ভাষা:-
কোন সাহায্য ছাড়া স্বাভাবিক আলোতে দুটি চোখ এক কোটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের তল আলাদা করে সনাক্ত করতে পারে। যেখানে ফটো ইলেকট্রিক স্পেকট্রোফটোমিটার এ ক্ষমতা চোখের দক্ষতার শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ ।
চোখের রেটিনায় রয়েছে ১০ টি লেয়ার, চোখের photoreceptor cell এর সংখ্যা প্রায় ১২৭ঢ১০৬ প্রত্যেক চোখে। এতে দুই ধরনের cell থাকে যা অল্প ও অধিক আলোয় দেখতে সাহায্য করে ।

চোখের জলের হয়না কোন রং-
চোখের জল যা অশ্র“ নামে পরিচিত এক বিষ্ময়কর পদার্থ যা প্রত্যেকবার পলক ফেলার সাথে সাথে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকারী অবস্থান নেয়। উত্তেজিত মানুষেরা চোখের পানিতে শতকরা ২৪ ভাগ প্রোটিন থাকে। অশ্র“তে সামান্য পরিমান প্রোল্যাকটিন হরমোন থাকে যা মহিলাদের স্তনে দুগ্ধ আনায়নে উদ্দীপনা যোগায়।

নাক:-
নাকের শে¬­ষ্মা ঝিলল্লি লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে শে¬­ষ্মার রাসায়নিক পদার্থের বিরুদ্ধে। পুষ্পরেনু প্রতিরোধে রয়েছে নাকের স্বতন্ত্র প্রতিরোধ কৌশল। কোন ধুলাবালি বা কোন ক্ষুদ্র বস্তু নাক দিয়ে প্রবেশ করলে শে¬­ষ্মার সংস্পর্শে আসামাত্র চুলকানি অনুভূত হয় যার ফলে হয় হাঁচি।
হাঁচিতে যে বেগে বাতাস বের হয় তা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০০ মাইল ।
নাকের ভিতরে যে আবরণ রয়েছে তাতে ব্রাশের মত যে বস্তু আছে তা সর্বদা ঢেউ আকারে চলমান যার মাধ্যমেও অনেক ধুলিকনা বা একই জাতীয় বস্তুু বাইরে বেরিয়ে আসে ।

কানা কানি:-
মানুষ ২০ হার্জ থেকে ২০,০০০ হার্জ পর্যন্ত শব্দ শুনতে পায়। এত অল্প কম্পাংকের শব্দ শুনতে পেলেও কানের পাশ দিয়ে যে রক্ত ধারা প্রবাহিত হয় তার শব্দ শুনতে পায় না। কানের আছে তিনটি অংশ। কানের প্রধান কাজ হল শব্দ শোনা কিন্তু কান আরও একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ করে তা হলো সাম্যাবস্থা নিয়ন্ত্রন করা। কানের ভিতরে যে পর্দা আছে তা মূলত শুনতে সাহায্য করে। এই পর্দার কম্পনের কারনেই আমরা শুনতে পাই ।
অত্যাধিক শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর। ১৫০ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ সার্বক্ষনিক শুনলে শ্রবন ক্ষমতা স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হতে পারে। ২০০ডেসিবেল বা এ বেশী মাত্রার শব্দ মৃত্যুর কারণ হতে পারে ।
এজমা রোগাক্রান্ত শিশুদের শ্রবন ক্ষমতার উচ্চসীমা ৩০.০০০হার্জ পর্যন্ত হতে পারে ।
মানুষ তার নিজের উচ্চারিত যে শব্দ শুনতে পায় তা প্রবাহিত হয় হাড়ের মাধ্যমে।

এত খাবার যায় কোথায়?
মানব শরীরের আরেকটি বিষ্ময়কর বস্তু হল পাকস্থলী। এর খাবার ধারনক্ষমতা প্রায় দেড় কেজি। এর ভিতরে থাকে হাজার হাজার নিউমেরাস ফোল্ড যা এর র্সাফেস এরিয়া বাড়ায় কয়েকগুন। এতে রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষতিকর HCL এসিড। যা লোহা পর্যন্ত গলাতে পারে কিন্তু পাকস্থলীকে গলাতে পারে না কারন পাকস্থলীতে আছে মিউসিন নামক লালা জাতীয় পদার্থ। এতে আছে হাজার হাজার ব্যাকটেরিয়া। খাবার মুখে থেকে পেটে গেলেই কার্যকরী হয়ে যায় সকল গ্রন্থি যার মাধ্যমে খাবার প্রথমে চূর্ন হয়, এর পর হয় শোষন। যার মাধ্যমে শরীর তার সর্বশক্তি পেয়ে থাকে।
এতো গেল মানব শরীর নিয়ে সামান্য আলোচনা। আরও আছে কঙ্কাল তন্ত্র লসিকা গ্রন্থি, মূত্রনালী সংক্রান্ত বংশগতি সংক্রান্ত ইত্যাদি।

এরপরও কি মনে হয় না যে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল যন্ত্র হল আমাদের তথা মানুষের শরীর।
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×