একদিন ক্ষুধার্তের দরজায় খাবার হাতে
লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাবে মানুষ,
বেপাড়ার মেয়েটি বেনারসি পড়ে
অধ্যাপকের ঘর আলো করতে চলে যাবে।
একদিন মেঘেদের ঝটিকা আক্রমনে-
আমাজানের বুকের আগুন দপ করে নিভে যাবে
অস্ট্রেলিয়ার দগ্ধ বন্যপ্রানীর শোক উৎসারিত কান্না থেকে-
পরিবেশ রক্ষায় নেমে আসবে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী।
একদিন চন্দ্রালোকিত প্রহরে -
বিপথগামী তরুন ঘুরে দাঁড়াবে হঠাৎ-
সটান ইউটার্ন নিয়ে দৃপ্ত পায়ে ফিরে আসবে পথে।
গোলাপ মাড়িয়ে যাওয়া বুট খুলে ফেলে সেনাধিপতি
নগ্ন পায়ে সবুজের মমতাটুকু মেখে নিতে নিতে-
ঝরা পাপড়িগুলো যত্নে তুলে রাখবে বুকপকেটে।
একদিন সকালে আমরাও রওনা হবো আবার-
গন্তব্য ভুলে অলীক অন্ধকারে যে বিদিশার প্রান্তরে
প্রায় পৌছে গিয়েছিলাম- শুধরে নিয়ে চলব ফের
অনন্ত আলোর দিকে মুখ করে।
মধ্যরাতের দুঃস্বপ্নের মত অশরীরি বিভৎসতায়-
কয়েক শতাব্দী ধরে মানুষের শরীর থেকে
ধ্বস্ত মানবতার বিচ্ছিন্ন অংশগুলো
একদিন ছুটে আসবে অলৌকিক টানে-
একত্রিত হয়ে হয়ে নির্মিত হবে
মানুষের একখানা সম্পূর্ণ অবয়ব।
সেদিন চারিদিক আলো করে সহস্রবর্ণ সূর্য উঠবে
যুদ্ধ বিক্ষুব্ধ শত্রুঘেরা ক্লিষ্ট জনপদে-
সাতশ’ হাজার কোটি সাদা পায়রা উৎফুল্ল ডানা মেলবে আকাশে
সাতশ’ কোটি মানুষের শান্তির পাহাড়ায়।
--------------------
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৯