ইসলাম মানব রচিত ধর্ম । বেশ, যুক্তি, তর্ক পেশ করুন। অাপনাকে স্বাগত জানাবো।
টিকতে পারলে টিকবেন, না হলে চিপাচাপা দিয়ে পালাবেন।
(১) অন্য ধর্মের কোটি কোটি লোক রয়েছে। তাদের ধর্ম কার রচিত? তাদের সংশোধণ করেন না কেন? শুধূ ইসলামের প্রতি এলার্জি কেন?
(২)বেদ-প্রাচীন ভারতে রচিত একাধিক ধর্মগ্রন্থের একটি সমষ্টি। মহাভারত- রচয়িতা ব্যাসদেব। রামায়ণ-রচয়িতা বাল্মীকি। ত্রিপিটক-বুদ্বের দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। বাইবেল-খ্রিস্টধর্মমতে, ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০জন লেখক বাইবেল রচনা করেছিলেন। এরা ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন লোক। খ্রিস্টানগণ বিশ্বাস করেন, এই বাইবেল রচনা হয়েছিল খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদের অন্যতম পবিত্র আত্মার সহায়তায়।
কিন্তু কোরঅানের ক্ষেত্রে কি বলবেন? ইহার লেখক কে? যদি কোন গ্রন্থ থেকে নকল করা হয় তবে তার যথাযথ রেফারেন্স দিন।
(৩) যদি মুহাম্মাদ (সাঃ) লিখে থাকেন তবে কিভাবে সম্ভব? কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোন শিক্ষকের নিকট পড়াশোনা না করে এতবড় ছন্দময়, অর্থবহ এবং চমৎকার ব্যকরণ সমৃদ্ধ গ্রন্থ কিভাবে লিখলেন? তিনি তো ইতিহাসবিদ ছিলেন না। তাহলে কিভাবে কোরঅানে এতসব ঘটনা লিখে ফেললেন?
(৪) পরকাল অাছে। এজীবনটাই শেষ নয়। পার্থিব জীবনের যাবতীয় কর্মফলের হিসাব পরকালে দেয়া লাগবে একমাত্র অাল্লাহর কাছে। একমাত্র তারই এবাদত করতে হবে। এই কথা বলে কাফের, মুশরিকদের বেদম মার খেয়েছেন তিনি। এতে তার লাভটা কি ছিলো? এসব কাজ করে তিনি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক হননি বা প্রাসাদ বানিয়ে বসবাস করেন নি। না খেয়ে, না দেয়ে ইসলাম প্রচার করে তার লাভটা কি ছিলো?
(৫) সারারাত জেগে জেগে তিনি অাল্লাহর এবাদত করতেন। অাল্লাহর ভয়ে তার দাড়ি মোবারক ভিঁজে যেত । কেন তিনি এসব করতে গেলেন?
(৬) কাফের মুসরিকরা পর্যন্ত হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) কে 'অালামিন' খেতাব দিয়েছিলেন। কেন?
(৭) একমাত্র কোরঅান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ মুখস্ত করা সম্ভব হয়নি। কেন? সেটা এক দুইজন নয়, কোটির উপরে । এর লজিকটা কি?
(৮) কোরঅান ছাড়া এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা সংশোধন বা পরিমার্জন হয়নি। কিন্তু কোরঅানের শুরু থেকে একটি অক্ষর পর্যন্ত পরিবর্তন হলো না কেন?
অাসুন দ্বীতিয় অপশনেঃ
(১) অাপনি ইসলামকে বিশ্বাস করেন না। বেশ, এটা অাপনার নিজস্ব চিন্তাধারার একটা বহিঃপ্রকাশ। তাহলে এবার বলুন, প্রথম মানুষের শুরু কিভাবে হলো? পৃথিবীর অসংখ্য প্রাণীর প্রথম শুরু কিভাবে হলো? বিজ্ঞানিরা কিন্তু বলেই ফেলেছেন, একটি মাত্র অাদি কোষ থেকে একাধিক প্রজাতির প্রাণীর বিকাশ সম্ভব নয়। The Origin Of Species থেকে সাহায্য নিলে বাদর হয়ে যাবেন।
(২) অাপনার একটা লেখা পড়ে বুঝলাম। অাপনি প্রকৃত ঈশ্বর খুঁজছেন। তো, ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করে তার জীবন বিধান না দিয়ে চুপচাপ বসে অাছেন; এমন ঈশ্বরের খোঁজ নিলে কি -অার না নিলে কি। অাধুনিক যুগে বসবাস করেও কেন ঈশ্বরকে খুঁজে পাচ্ছেন না? না-কি ঈশ্বর খোঁজার কোন যন্ত্রপাতি অাবিস্কার করছেন?
(৩) মানুষের অসংখ্য প্রয়োজন মেটাতে প্রকৃতিকে কে বলেছে? এত প্রোডাক্ট প্রকৃতি কেন দিতে যাবে? প্রকৃতির কি কোন জ্ঞান-বিবেক সম্পন্ন সত্ত্বা?
(৪) মানবদেহ একটা বায়োমেশিন। একটা হাইব্রিড কম্পিউটারে সাথে তুলনা করতে পারেন। তো, একটা হাইব্রিড কম্পিউটার তৈরীতে যদি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন হয় তবে সেই জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ তৈরীতে কেন কারও প্রয়োজন হবেনা?
(৫) দেহের ভীতর অঙ্গগুলোর একটা চমৎকার পারস্পরিক সমন্বয়যুক্ত সেটিং অাছে। এবং এক একটার একটা নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি রয়েছে। এই সেটিং এবং কর্মপদ্ধতি কিভাবে অটোমেটিক্যালি হওয়া সম্ভব? ব্যাখ্যা দিন।
দয়া করে কোন লিংক দিবেন না? ঐ যুক্তিবিদ্যা অার ভালো লাগেনা।
একটা উপমা দিয়ে শেষ করবো।
সাপ এবং ব্যঙের মধ্যে ঘটনাক্রমে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
একদিন ব্যঙ তার বন্ধু সাপকে বললো, দোস্ত, তোর সব ভালো লাগে। কিন্তু এই যে অাঁকাবাঁকা ভাবে চলাফেরা করিস। এটা অামার ভালো লাগেনা।
সাপতো রেগে অাগুন,, তুই অামার বন্ধু হয়ে এতবড় কথা বল্লি!
ফোস করে ফণা তুলে তার বন্ধু ব্যঙকে দিলো ধাওয়া।
ব্যঙ বেচারা কি অার করার। গিয়ে পড়লো বিলের ভীতর এক খালের পানিতে।
সাপ পানির ধারে বসে ফোস ফোস করতে লাগলো।
এক রাখাল যাচ্ছিলো ঐ পথ দিয়ে । সামনে দেখে সাপ ফনা তুলে ফোস ফোস করছে। রাখাল হাতের লাঠি দিয়ে অাচ্ছামত পিটিয়ে জমির অাইলের উপর লম্বালম্বি করে, মানে সোজা করে ফেলে রাখলো।
খানিক বাদে ব্যঙ বেচারা পানি থেকে উঠে দেখে, অবস্থা শোচনীয়।
সাপের কাছে গিয়ে বললো, হাউ অার ইউ? দোস্ত।
দোস্তের কোন সাড়া নেই। শটান হয়ে পড়ে অাছে।
ব্যঙ বেচারা অাফসোস করে বললো, দোস্ত তোকে নিষেধ করেছিলাম, অাঁকাবাঁকা চলিস না । অামার কথা কানে তুল্লিনা।
এখন তোর অবস্থা দেখে অামার খুব অাফসোস হচ্ছে। সরি, দোস্ত ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩