শুরুতে চীন করোনার ফোকাল পয়েন্ট হলেও বর্তমানে তা ইউরোপ । করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় ইতালী এখন এক নম্বর ।গণচীন করোনা জয়ের পথে । করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার, আক্রান্ত ৩ লাখ । আশংকার বিষয় হলো করোনা ভাইরাসের বিস্ময়কর সংক্রমন ক্ষমতা । অনেক দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে । তবে আশার বিষয় করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানে মৃত্যু নয় । অনেকে জয় করেছে করোনা। তারা দিব্যি সুস্থ হয়ে বেঁচে বর্তে আছে। আমাদের বাংলাদেশ হুমকীর মুখে কিন্তু আমরা সতর্ক হতে পারি এখনই এবং তা মোকাবেলা করতে পারি। দরকার একতা । সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা । এখন দেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ করোনার ভয়াল থাবা থেকে আত্নরক্ষা। এ বিষয়ে সফল বিশ্বনেতাদের গৃহীত পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা নিতে পারি আমরা। কোরআন আর হাদীস আমাদের যথোপযুক্ত নির্দেশনা দিতে পারে। দেশের স্বার্থে আমাদের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এর কোন বিকল্প নেই ।
১৫ দিন বাসায় থাকুন আর না হয় ৫ বছর জেলে: পুতিন
সাড়ে ১৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ রাশিয়ায় ২৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আর মারা গেছে মাত্র একজন। অন্যদিকে পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ লুক্সেমবার্গের ৬ লাখ ২৮ জনসংখ্যার বসবাস। কিন্তু দেশটিতে ৬৭০ জন করোনায় আক্রান্ত ও মারা গেছে আটজন।
করোনাভাইরাস নিয়ে রাশিয়া অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছে। চীনের সাথে দুই হাজার ৬০০ মাইলের মতো দীর্ঘ সীমান্ত জানুয়ারির ৩০ তারিখে বন্ধ করে দেয় ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করে। এর ফলে রাশিয়াতে করোনা দ্রুত ছড়াতে পারেনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. মেলিটা ভোজনিক বলেন, রাশিয়া শুরু থেকেই রোগী চিহ্নিতকরণ, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা, আইসোলেশনসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়েছে। স্টুডেন্ট জার্নাল ।
নিজ এলাকায় অবস্থান করা
আয়েশা রা. বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি উত্তর করেন—মহামারী ছিল একটা আযাব, আল্লাহ যার ওপর ইচ্ছা পাঠাতেন। তারপর আল্লাহ তাআলা মহামারীকে মুমিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিয়েছেন। কোনো বান্দা যদি মহামারী আক্রান্ত এলাকায় থাকে এবং সেখানে অবস্থান করে, তাহলে সেই অঞ্চল থেকে সে বেরুবে না। ধৈর্য ধারণ করবে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় থাকবে; এবং এই বিশ্বাস রাখবে—আল্লাহ তাআলা যদি তার তাকদিরে লিখে না থাকেন, তাহলে মহামারী তাকে আক্রান্ত করতে পারবে না। আর যদি আক্রান্ত হয়েই যায়, তাহলে তার জন্য রয়েছে একজন শহিদের সমপরিমাণ আজর ও প্রতিদান• (সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৬৬১৯, ৫৭৩৪) ।
ছয় দিনেই শতভাগ নিরাময় সম্ভব করোনা ভাইরাস!
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও তিন দেশের ভিন্ন তিনটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে এমন তথ্য। চীন, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের গবেষকদের ভিন্ন তিনটি গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লোরোকুইন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিন একসঙ্গে প্রয়োগ করলেই ছয়দিনে মুক্তি মেলে করোনা থেকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও শনিবার এক টুইট বার্তায় এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, হাইড্রো ক্লোরোকুইন এবং এজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ এক সঙ্গে সেবন করলে আক্রান্ত রোগীরা সেরে উঠবেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে দ্যা গেটওয়ে পুন্ডিত কথা বলেছিল সেনাবাহিনীর সাবেক ফ্লাইট সার্জন মার্ক গ্রিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিন এক সঙ্গে ব্যবহার করলে করোনা আক্রান্ত রোগী শতভাগ সেরে ওঠেন। তিনি বলেন, ম্যালেরিয়ার জন্য আগে ব্যবহৃত ক্লোরোকুইন যার নতুন ভার্সন হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় খুবই সফল। অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্সের আলাদা তিনটি গবেষণায় এর সাফল্য দেখা গেছে। এর সঙ্গে এজিথ্রোমাইসিনও ব্যবহার করা হয়েছে। এই ওষুধ ব্যবহারে কিছুক্ষেত্রে তিনদিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে ছয়দিনেই শতভাগ ভাইরাস মুক্ত হয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। সূত্রঃ সময় নিউজ.টিভি (সংগৃহীত) ।
আমরা সাধারণ মানুষ ক্ষমতা সীমিত । ওষুধের দোকানে সিভিট কিনতে গিয়ে পণ্ডশ্রম হলো। অনেকগুলো দোকান ঘুরে সিভিট পাওয়া গেল না। বিক্রেতাদের দাবি ক্রেতারা অনেক বেশি কিনে স্টক শেষ করে ফেলেছে। ক্রেতাদের দাবি বেশি দামে বিক্রি করার লোভে সিভিট বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। অবশ্য তাদের দাবি লেবু কিনেন। লেবু হলো ন্যাচারাল আর সিভিট আর্টিফিসিয়াল ভিটিামিন সি। আসলেই তো ওগুলোতে কতটুকু সি আছে পুরো দেশটাই যেখানে ভেজাল। ভিটামিন সি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । ভিটামিন সি আছে লেবু, কমলা, টক ফলমূলে। ভালো লেবুর হালি ষাট থেকে আশি টাকা। লেবুর দাম কমানো দরকার। এবং উৎপাদন বাড়ানো দরকার। গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে দারুন উপকার। রোযা রাখা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে স্রষ্টার ইবাদতও হবে । রোগ সংক্রমনের কোন আশংকাও নাই। নামাযে সেজদায় গিয়ে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা চাওয়া দরকার । মসজিদে গেলে খুব সতর্কতার সঙ্গে দেহের জীবানু নাশ করে নামায পড়ে আবার নিজেকে জীবাণু মুক্ত করে তবেই ঘরে ফেরা দরকার। অনর্থক ঘুরোঘুরি করা ইসলাম সমর্থন করে না। মুসলমান মানে আত্নসমর্পনকারী মনে রাখতে হবে । হোম কোয়ারেন্টাইন বিষয়টি ইসলামে বহু আগে থেকেই আছে।বাহির মুলুক থেকে এসে সরাসরি পরিবার এবং অন্যের সংস্পর্শে আসার বিষয়টা কিছুটা বিরতি দিয়ে করার নিয়ম। তবে এ কথা বলা যায় মুসলিম বিশ্ব করোনা ভাইরাসে অতটা হুমকীর সম্মুখীন নয় যতটা অন্যরা। তাদের সুন্দর খাদ্যাভ্যাস এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবন যাপনের কারণে হয়তো । শিয়া অধ্যুষিত ইরান আক্রান্ত ভয়াবহ ভাবে সু্ন্নীরা নন এখন পর্যন্ত এ কথা বলা যাচ্ছে। উলামা আখেরাতদের তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই। তারা কোরআন জানেন যদিও সীমাবদ্ধতা প্রত্যেক মানুষের আছে। পবিত্র কোরআন যে যতটা জানে এবং মানে তারা স্রষ্টার কাছে তত বেশি সম্মানিত। তবে তাদের আধুনিক জ্ঞান সম্বন্ধে ধারণা অপ্রতুল। আর তথাকথিত আধুনিকগণ কোরআন জানেন না বলতে গেলে প্রায় জিরো । সেই কবি গুরুর সাতার জানা না জানা বিষয়ক কবিতার মতো। যে কোরআন জানে না সে আসলে সাতার না জানা মানুষ জলের উপর— যার জ্ঞান ষোল আনা মিছে । যদি শতভাগ নির্ভেজাল কিছু জানতে চান শিখতে চান তবে কোরআন শিখুন । কোরআনে একমাত্র নির্ভেজাল ইতিহাস বাকি সব বিকৃত। অন্যন্য আসমানী কিতাবের তুলনায় কোরআনের বিশেষত্ব বা মুজেজা হলো এটি অবিকৃত থাকার মুজেযা। স্বয়ং আল্লাহর জিম্মায় এর অবিকৃতির হেফাজত। অন্য সব আসমানী কিতাব সংযোজন বিয়োজন হয়ে বাতিল হয়ে গেছে। সেগুলো ততটুকুই সঠিক যতটুকু আল-কোরআনের সাথে মিলে যায়। চীন আল কোরআনের এডিশন করতে গিয়ে করোনায় খোদার অভিসম্পাতে মসজিদে প্রার্থনা করতে বাধ্য হয়েছে । আল কোরআন অবিকৃত আছে । আলকোরআন আল্লাহর নাজিল কৃত সর্বশেষ আসমানী কিতাব । আর কম্লিট কোড অফ লাইফ। একটা কবিতা হয়ে যাক । কবিতার নাম সফলতা ।
সফলতা
মৃত্যু! মৃত্যু!! মৃত্যু!!!
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে—
ক্ষণিকের অবণীতে— আমরা সবাই,
তাতে কি মৃত্যুকে ভয় পেতে নাই।
বিচক্ষণ মানুষ বেঁচে থাকে সুন্দর
— এক মৃত্যুর প্রত্যাশায়।
ক্ষণিকের পৃথিবীতে বলো কে আছে অমর ?
মানুষ কদিনই বা বাঁচে?
মানুষের জীবনের দৈর্ঘ্য ঠিক কত—টুকু?
তার প্রকৃত পরিমাপের গজ ফিতা কি আছে
তোমার কাছে? তোমাদের কাছে ?
তোমাদের শুধাই—
আশি বছরের জীবনে মানুষের মতো মানবিকতা লয়ে
কতো বছর বাঁচা তার হিসাব কি রেখেছো?— পাপিষ্ঠ অবিবেচক
জেনে রেখো মৃত্যুর পর এক জীবন আছে শেষ নাই যার
সোয়া লক্ষ নিষ্পাপ নবী-রাসুল বলে গেছেন সে কথা
আরও বলে গেছেন— এই জীবনের কর্মগুণে
সেই জীবনের সুখ —মিছে নয় কভু মিছে নয় সে কথা
আরও তারা বলে গেছেন কিভাবে পেতে পারো সফলতা।
তারা বলতেন মানুষের দ্বারে দ্বারে শত বঞ্চনা শয়ে
ক্বুলু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তুফলিহুন
(বলো আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই
তুমি ক্বামিয়াব হয়ে যাবে) কহিতেছি সে কথা,
জান্নাতে আছে হুর আর রাশি রাশি ফুল
আছে সেথা শরাবুন তহুরা— সুপেয় জল;
এক চুমুকে ক্লান্তিরা হয়ে যাবে দূর,
সেথা আছে অফুরন্ত নাজ নেয়ামত
ইয়াকুত পাথর আর স্বর্ণের—সুরম্য ইমারত;
সেখানে মৃত্যু হবে না আর।
সফলতা তারেই বলে যে করেছে জান্নাত অর্জন
—এখানে ব্যর্থতার নেই কোন লেশ।
অবিশ্বাসী বান্দারা জ্বলবে আগুনে— সেই অশেষ জীবনে
পুড়ে পুড়ে হবে শুধু শেষ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০০