ফুলের মতই নিষ্পাপ শিশু
তবুও সে পায়নিকো নিস্তার
পাকহানাদারের দোসর থেকে।
দেশদ্রোহী শকুনেরা
নির্মম তপ্ত বুলেটই তাকে দিয়ে ছিলো উপহার
জানা নেই কী তার অপরাধ!
এতো অল্প বয়সে? বুঝার মতো বয়স
হয়নি তো তার।
তবে কী দোষ ছিল তার?
মানবতা আজও ডুকরে কাঁদে
—এই নির্মমতা স্মরণে।
কেন হলো? কেন হলো অবতারণা
ইতিহাসের নৃশংসতম— এই নির্মমতার।
উত্তর জানা নেই
সমবেদনা জানাবার ভাষা নেই।
বঙ্গবন্ধুর পবিত্র রক্ত প্রবাহিত ছিল যে
ধমনীতে তার।
হতে পারে এই অপরাধেই নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো।
উত্তপ্ত বুলেটে ঝাঁঝরা দেহ
রক্ষা পায়নি তাই, দশ বছরের নিষ্পাপ দেহ
রাজাকারের বিচারে।
বেদনার অশ্রু ঝরে পড়ে
শ্রাবণ আকাশের বুক বিদীর্ণ করে।
হায় রাসেল হায় রাসেল এই নির্মমতা স্বরণে
মুজিবের রক্তে ত্যাগে ক্যারিশমায়
আলোড়িত তাড়িত বীর জনতার আত্নবলিদানে
অর্জিত স্বাধীনতা, স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশের অভ্যুদয়। তাই তবে এতো রুষ্ট
এই রক্তের প্রতি।
তারা তো অপচ্ছায়া ঘৃণ্য হানাদার দোসর
এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কীই বা হতে পারে?
তাদের কাছে।
পনেরোই আগস্টের নির্মমতার শিকার তাই
বঙ্গবন্ধুর ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশু রাসেল।
হায় রাসেল! হায় রাসেল!! আহাজারি বাংলার
আকাশে বাতাসে।
প্রিয়তমা হলো তাই এই কবিতা লেখা
জানি দুচোখ তব ভরে গেছে ক্রন্দন জলে
এই দিনে স্মরি তারে অনেক স্নেহ বুকে লয়ে
অশ্রুসিক্ত নয়নে, প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা কামনায়।
রক্ত দিয়ে লেখা সেই ইতিহাস
বারবার ফিরে আসে;
অশ্রুসিক্ত নয়নে স্বাধীন বাংলাদেশে
ষড় ঋতুর নির্বাক পরিক্রমায়— নীরবে।
ছবি ঃ গুগুল থেকে নিয়ে পেইন্টে পাওয়ারপয়েন্ট করা
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৯