ভূমিকা
যেতে পথে রাধা আন্মনে ভুলে গেছে তার জাপানি ছাতা।
নক্ষত্রের অগনিত প্রদীপ খচিত আদিগন্ত ধুসর তমস ঢাকা
রেশমী ঘোমটা - বাগানের দ্বারে দেখি পথভোলা সন্ধ্যা।
গীতিকা
বাগানে দু'জনে বসে আছি যেন বহু কাল - অনুজ্জ্বল
নক্ষত্রের মতো - পাশাপাশি নির্জনে নিঃশব্দে - হাতে হাত রেখে ।
সন্ধ্যার নিবিড় ছায়াচ্ছন্ন আধো অন্ধকারে
সোনালী জোনাকি - জ্বলে নিভে - লিখে যায়
অস্তিত্বের শত স্বর্ণবর্ণ পদাবলী।
সন্ধ্যার হৃদয়ে এতো এতো ছায়া দীর্ঘতর হয়
যাবতীয় ছায়া সব দীর্ঘ হতে হতে হয় গাঢ়
আধাঁর জমাট বেধে ছায়াসমাবৃত গাঢ় রাত্র।
নীলাভ সন্ধ্যার ক্ষীণালোকে দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে মহাকাল।
আকাশে চাঁদের নিরালোক পূর্ণকলা আগমন।
তাপহীন জ্যোৎস্নায় আপ্লুত রজনীগন্ধার অনুরণ দেখি;
সন্ধ্যার আড্ডায় বাতাসের উচ্ছ্বল অংশ গ্রহণ দেখে
গন্ধে গন্ধে সারা রাত দুলে গেছে শুভ্র গন্ধরাজ।
কামেনীর গন্ধে মাতালের মতো হৃদয়ের সুগন্ধে বিভোর -
নির্জনে দু'জনে বসে আছি - মুখোমুখি চোখে চোখ রেখে।
বহুযুগ পর আনত দৃষ্টিতে ছিল আমার একটি মৃদু হাসি
তোমার স্পর্শের আঙ্গুলে একটি মাত্র কথা - ভালোবাসি।