এমন কি মুরগির একটা ডিম পর্যন্ত বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলে। এই পোস্টে আমি মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানের নিয়ম-নীতি জানার চেষ্টা করবো। আবার বিজ্ঞানের নীতির সাহায্য নিয়ে মুরগির ডিমকে জানার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনারা সাথে আছেন।
(ক) মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানকে জানাঃ
উপকরণঃ
১। একটা মাঝারি সাইজের মুরগির সেদ্ধ ডিম। খোসা তুলে ফেলতে হবে। দেশী মুরগির ডিম হলে ভালো হয়। উটপাখি বা অস্ট্রেলিয়ার ইমু পাখির ডিম হলেও চলবে তবে সেই ক্ষেত্রে নীচে উল্লেখিত বোতলের বদলে বয়াম ব্যবহার করতে হবে। কারণ আমরা জানি যে উটপাখি বা ইমু পাখির ডিমের আকৃতি অনেকটা ছোট ফুটবলের সমান।
২ নীচের ছবির মত একটা কাচের বোতল।
৩। একটা টেবিল আর চেয়ার লাগবে। কারণ বোতল আর ডিমটা টেবিলের উপর রাখতে হবে। আর চেয়ার লাগবে আপনার বসার জন্য। যদি আপনি দাড়িয়ে থাকতে চান তাহলে চেয়ার লাগবে না।
এই অধ্যয়নটা আমি আসলে প্রথমেই ব্লগারদের বলতে চাচ্ছি না। আমি প্রথমে এটাকে একটা বিজ্ঞানের ধাঁধা হিসেবে পেশ করছি। ব্লগে অনেক জ্ঞানী, গুনি ব্লগার আছেন যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন। ওনারা দেখবেন নিমেষেই এই ধাঁধার উত্তর বলে দিচ্ছেন। ওনাদের মুখ থেকেই বাকি ব্লগাররা ধাঁধার উত্তর জেনে যাবেন। একই সাথে এই ধাঁধার পিছনের বৈজ্ঞানিক কারণটাও ওনারা বলে দেবেন।
উপরের ছবিটাতে দেখতে পাচ্ছেন যে একটা সেদ্ধ ডিম (খোসা ছাড়া) একটা বোতলের মুখে আটকে আছে। যেহেতু ডিমের আকৃতির তুলনায় বোতলের মুখটা সরু তাই স্বভাবতই বৈজ্ঞানিক কারণে ডিমটা আটকে আছে। আপনি জানলে বিস্মিত হবেন যে আরেকটা বৈজ্ঞানিক নীতিকে যদি বুদ্ধি খাটিয়ে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে ডিমটাকে হাত বা কোন কিছু দিয়ে চাপাচাপি, ঠেলাঠেলি না করেও বোতলের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। বৈজ্ঞানিক নীতির সফল প্রয়োগের দ্বারা ডিমটা সুরসুর করে বোতলের ভিতরে ঢুকে যাবে। কিন্তু শর্ত হোল ডিমে কোন তেল বা তৈলাক্ত জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। সামান্য পানি ডিমের গায়ে লাগাতে পারেন অবশ্য।
ব্লগারদেরকে, বিশেষভাবে বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগারদের বলতে হবে কিভাবে বিজ্ঞানের একটা প্রতিষ্ঠিত নীতি প্রয়োগ করে কোন প্রকার বাহ্যিক বল প্রয়োগ ব্যতিরেকে ডিমটাকে বোতলের মুখের মধ্য দিয়ে ভিতরে ঢুকানো যাবে।
নোটঃ হাতুরি, বাটালি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ডিমটা আপনি চাইলে লবন দিয়ে মেখে খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নাই।
(খ) বিজ্ঞান দিয়ে মুরগির ডিমকে জানাঃ
উপকরণঃ
১। একটা সদ্য পারা দেশী মুরগির কাঁচা ডিম।
২। একটা সদ্য সেদ্ধ করা দেশী মুরগির ডিম।
৩। যথারীতি একটা টেবিল লাগবে পরীক্ষা করার জন্য। আর চেয়ার লাগবে আপনার বসার জন্য।
আগের উদাহরনে মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানের সত্যতা প্রমাণ করেছি। এবার বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মুরগির ডিমকে বোঝার চেষ্টা করবো। আগেরবারের মতও এবারও এটাকে একটা ধাঁধার মত পেশ করছি। ধাঁধাটা হোল কিভাবে বুঝবেন কোন ডিম কাঁচা আর কোন ডিম সেদ্ধ? আমরা জানি কাঁচা ডিম আর সেদ্ধ ডিম দেখতে একই রকম। না ভাঙ্গা পর্যন্ত বোঝা মুশকিল কোনটা কাঁচা আর কোনটা সেদ্ধ। কিন্তু বিজ্ঞানের একটা নীতির সাহায্যে ডিম দুটোকে না ভেঙে সহজেই জানা সম্ভব কোনটা কাঁচা ডিম আর কোনটা সেদ্ধ ডিম।
নোট - এই পরীক্ষার জন্য কোন রকমের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি যেমন অণুবীক্ষণ যন্ত্র, আলট্রাসনোগ্রাফ যন্ত্র, এক্স রে, সিটি স্কানার ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। আপনার দুইটা হাতই এই পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট।
সঠিক উত্তরদাতাকে একটা বড় পেট বোতল ভর্তি সেদ্ধ, লবণ দিয়ে মাখা এবং তৈলাক্ত দেশী মুরগির ডিম দেয়া হবে।
ছবি - dreamstime.com
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০