জম্মের সময় শারীরিক সমস্যা , যেমন ছেলেদের , মেয়েদের সেক্সচুয়াল অর্গান পুরাপুরি ডেভেলাপ না হলে অনেক সময় ইনভেস্টিগেশন করে বলতে হয় , ছেলে না মেয়ে , সাধারন ভাবে এদের কেই হিজড়া বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসার যুগে জন্মের পর পর চিকিৎসা শুরু করা যায় , এবং উপযুক্ত ভাবে সনাক্ত করে জীবনযাপন করা যায়। এদের আরেকটা গ্রুপ আছে , তাদের সমস্যা প্রকাশ পায় বয়োসন্ধিকালে , আমরা তখন শুনি ছেলে থেকে মেয়ে অথবা মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গিয়েছে। এদের ও চিকিৎসা করে ভালো রাখা যায়।
সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে এধরণের রোগীরা জন্মের পর থেকেই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে। বারডেম হাসপাতাল সেই প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই এ চিকিৎসা দিয়ে আসছে। হরমোনের ডাক্তার হিসাবে এ ধরনের রোগীদের আমাদের চিকিৎসা করতে হয়। রোগীরা ভালো থাকে, সন্তুষ্ট থাকে, আমাদের ও ভালো লাগে। সরকারি ভাবে ও সামাজিক ভাবে এদের সাহায্য করা উচিৎ।
কিন্তু এমন কিছু মানুষ/রোগী আছে, যাদের শারিরীক কোনো সমস্যা নাই , কিন্তু মানুষিক ভাবে ছেলেরা নিজেদের মেয়ে ভাবে আর মেয়েরা নিজেদেরকে ছেলে ভাবে ( Gender dysphoria ) . They feel discomfort between gender at birth and gender identity, psychological sex is different. এটা অনেকটা , মানসিক সমস্যা।
তারা চাইলো , অপারেশন করে নিজেদের শরীর পরিবর্তন করলো এটাতো ভুল ইচ্ছা।
বছর খানেক আগে এক রোগীর উদাহরণ দিতে হয় ,যে মেয়ে হওয়ার জন্য অপারেশন করে এখন হতাশায় নিমজ্জিত।
আর তাদের মানসিক চিকিৎসা না করে তাদের ইচ্ছাটাকে প্রাধাণ্য দেয়া হয় , সেটাই বিরাট চিন্তার কারন।
বর্তমান সিনেমা, মিডিয়া এদের যেভাবে প্রমোট করে একারনে এখন এ রকম অনেক অসুস্থ মানসিকতার ছেলে মেয়ে দেখা যায়।
আমি চাই না আমাদের পরিবারে , পরিচিত , অপরিতজনের কোনো বাচ্চারা এসে দাবি করবে ,আমি ছেলে কিন্তু মেয়ে হতে চাই অথবা মেয়ে কিন্তু ছেলে হতে চাই। সাবধান। ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এদের সমর্থণ দেয়ার কিছু নাই।
(বারডেম হাসপাতালের হরমোন বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্য)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬