সোহান ছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঈশ্বরা গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে ও স্থানীয় শহিদ নূর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরবা জামতলা নামক স্থানে তার মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল সোহানুর। এ সময় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চারজন লোক বাইকে করে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। নিখোঁজের ১০ দিন পর চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বুলকিয়া চন্দতলা মাঠে সোহানুরের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
৩০০ গ্রামবাসী গিয়েছিল এমপি আনোয়ারুলের কাছে। সোহানকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিল তারা। বলেছিল, তারা সামনে আ'লীগ করবে। কিন্তু এমপি বললঃ আ'লীগ করার লোকের নাকি অভাব নেই।
এরপর ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে কালীগঞ্জ থেকে প্রায় ৫০ কি.মি. দূরে চুয়াডাঙ্গায় সোহানের গু*লিবিদ্ধ লা*শ পাওয়া যায়। সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভুলাটিয়ার মাঠে ডান হাত ভাঙ্গা, বাম চোখ উপড়ানো মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় শহীদ মহিউদ্দীন সোহানের।
কান্নায় ভেঙে পড়ে সোহানের গ্রামবাসী! তারা তাদের শ্রেষ্ঠ একটি সন্তানকে হারিয়ে ফেললো।
শহীদ সোহানের মা সেদিন আর্তনাদ করে বলেছিলেন "মারবেই যখন আমার বাবুটারে। চোখ দুইটা তুইল্যা নিলো ক্যান বাবুর??"
এই পোস্টটি রইলো! বাংলাদেশে একদিন এমন দিন আসবে যেদিন একজন আওয়ামীলীগার খুজে পাওয়া যাবে না ইনশাআল্লাহ।
এই জালিম এম পি আনোয়ারুল ভা*রতে নিজের অবৈধ সিন্ডিকেটের হাতেই খণ্ডবিখণ্ড গলিত মলিত লাশ হয়ে পড়ে আছে।
সোহানের অপরাধ ছিল সে ভিন্ন দল করতো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩