বিষাক্ত বীজ থেকে যেমন সুমিষ্ট ফল আশা করা যায় না, তেমনি ‘ইসলামী আন্দোলন’ ‘সৎ লোকের শাসন’ ‘ইক্বামাতে দ্বীন’ ইত্যাদি ইত্যাদি মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও মালানা মওদুদী নিজেই যে কত বিষাক্ত বীজ ছিলো তা তার উপরোক্ত কুফরী আক্বীদা থেকেই সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। তার উপরোক্ত কুফরী আক্বীদাগুলো মুসলমানদের সাথে তার বিশ্বাসঘাতকতার (মুনাফিকীর) স্বরূপই উন্মোচন করে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশ্বাসঘাতকদের (মুনাফিকদের) সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক ফরমান, “মহান আল্লাহ পাক তিনি পছন্দ করেন না তাকে, যে বিশ্বাসঘাতক পাপী হয়।” (পবিত্র সূরা আন্ নিসা: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৮)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে অপছন্দ করেন তার পরিণাম কি ভয়াবহ হতে পারে তা কল্পনাতীত! দুনিয়াতেও তার লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শেষ নেই। মওদুদীকে মানুষের কাছে লাঞ্ছিত করার জন্যই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত প্রকাশ পেয়েছে সাবেক সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র কর্মকর্তা ভ্যাসিলি মিত্রোখিনের সংগৃহীত নথি-তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এন্ড্রু’র রচনায়।
“.....ইন্টারনেটে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভ্যাসিলি নিকোতিচ মিত্রোখিন ১৯২২ সালে মধ্য রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করে। কাজাখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক মিত্রোখিন ইউক্রেনের মিলিটারি প্রসিকিউটর পদে যোগ দিয়েছিলো। সে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি’র ফরেন ইন্টিলিজেন্স অফিসার হিসেবে যোগদান করে। কয়েকটি অপারেশনে ব্যর্থতার পর তাকে কেজিবি’র নবগঠিত আর্কাইভ শাখার প্রধান পদে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে তার তত্ত্বাবধানেই ‘কেজিবি আর্কাইভের’ সব গোপন নথিপত্র লুবিয়াংকের কার্যালয় থেকে ইয়াসেনেভোস্থ কেজিবি’র প্রধান কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। এই সময়ের ভিতর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সে বিভিন্ন গোপন দলীলের কপি সংগ্রহ করে। ১৯৮৫ সালে অবসর নেয় মিত্রোখিন। আর ১৯৯২ সালে মিত্রোখিন ও তার পরিবারের সাথে ৬ ট্রাংক ভর্তি ২৫ হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। (চলবে)