প্রথম পর্বের লিঙ্ক
http://www.somewhereinblog.net/blog/shagnik007/30051750
বঙ্কিমের বইয়ের বাজারের কাটতি অনেক,কলকাতার মানুষ বুভুক্ষের মত তার বই কিনে,তার বইয়ের কাটতির কাছে সমকালীন কোন লেখক দাঁড়াতেই পারে না,জনপ্রিয়তার শীর্ষে তার অবস্থান।
বঙ্কিম কিন্তু এই ব্যাপারে নিয়ে একটু অহঙ্কারি,তার দুর্গেশনন্দিনী বাংলার সার্থক উপন্যাস,মানুষ এখনো কিনছেন,পড়ে অভিভূত হচ্ছে।
রবিদার বই বের হচ্ছে।তবে সেটা অল্প কয়েকজন কিনে,তাও আবার বন্ধুবান্ধবেরা,অক্ষয়বাবু,বিহারীলালবাবু এরাই কিনে এবং পড়ে রবিদার সাথে বই নিয়ে কৌতুক করে।
এইত সেদিন অক্ষয়বাবু রবীদাকে ডেকে তার শৈশবকালীন কবিতা নিয়ে অনেক তামাশা করলেন,
বললেন”রবিবাবু,শুধুই কি জল পড়ে,পাতা নড়ে??অন্য কিছু পড়ে না??”
এইদিকে রবিদার প্রথম উপন্যাস বউঠাকুররাণীর হাঠ বের হল,
লোকজন বলে”ভালই হয়েছে,কিন্তু বুঝলে ভায়া বঙ্কিমের দুর্গেশনন্দিনী কাছে কিছুই না।
রবিদা এইটুকু শুনে সন্তুষ্ট,বঙ্কিমের সমান হওয়ার সময় তার এখনও আসে নাই,
রবির গায়ক হিসবে নাম করেছে,অনেক জায়গায় অনুরোধ আসে,ব্রাহ্ম সমাজে প্রাথনার সময় তার গান ছাড়া শেষই হয় না।
কাদম্বরী দেবী তার প্রধান শ্রোতা,প্রত্যেক কবিতা,গান প্রথমে সে তার নতুন বোঠানকে শোনাবেই শোনাবে।
কাদম্বরী দেবী শুনে মাঝেমাঝে মাথা নেড়ে নেড়ে বলে”শদ্ধগুলো খুব সস্তা মনে হচ্ছে,মনে হচ্ছে পাড়াগাঁয়ের গান।
রবিদা কাগজ ছিঁড়ে ফেলে আবার লেখা শুরু করে নতুন উদ্যমে।
কাদম্বরীদেবী কে রবিদা আর একটি নাম ডাকে,হেকেটি।
হেকেটি হল গ্রীক পুরানের দেবী,কাদম্বরী অনেকটা লম্বা,ফরসা।বাঙ্গালী মেয়েদের এত লম্বা দেখা যায় না,
রবি কবিতা লেখে কাদম্বরী কে,কবিতার বই উৎসর্গ করে ও কাদ্মবরীকে.........। (চলবে)