অনেকদিনের পুরানো ডায়রী থেকে:
বিরক্তিকর ভাষন শুরু হলো। বেগম সারওয়ারী রহমানের ভাষনের সময় প্রফেসর চৌধুরী পকেট থেকে একটা ছোট ক্যামেরা বের করে আমাদের আশ্চর্য করে দিয়ে প্রথমে দর্শকদের একটা ছবি তুললেন, তারপর বেগম সাওয়ারী রহমানের একটি, অবশেষে একজন লোককে ডেকে অন্যান্য অতিথিদের সাথে দাঁত বের করে একটি ছবি তুললেন। এরপর প্রফেসর চৌধুরী ভাষন দিতে দাড়ালেন। তিনি বুঝতে পারছিলেন ভাষন শোনার কোন ইচ্ছা দর্শকদের নেই। তাই দাড়িয়েই বললেন, আমি ছোট্ট বন্ধুদের প্রশ্ন করবো, তোমরা উত্তর দিবে। এভাবে আসর জমিয়ে তিনি ভাষন দিলেন। সবার ভাষন শেষ হলে অতিথিরা মন্ঞ থেকে নেমে অন্যান্যদের উঠিয়ে দিয়ে সোফায় বসলেন। এরপর শুরু হলো অটোগ্রাফ নেবার পালা। আমি অটোগ্রাফ খাতা আনলেও, সাইনপেন খুজে না পেয়ে একটা ইকোনো ডি এক্স বলপেন এনেছিলাম। এটা নিয়েই ভিড়ের মধ্যে ঢাক্কাঢাক্কি করতে করতে শেখা অটোগ্রাফ আনতে গেল। বেগম সারওয়ারী রহমান অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে দেখলেন, কলমে কালি নেই। অথচ আমি চেক করেই এনেছিলাম। শেখা রাগে ওখান থেকেই কলমটা আমার গায়ে ছুড়ে ফেলল। পাজিটাকে কাছে পেলে কান টেনে এই বেয়াদবির দন্ড দিতাম। এখন সম্ভব না। যা হোক অন্যের কলম ধার করে কোনমতে অটোগ্রাফ নিয়ে রওনা হলাম। দরজার ভিড় কাটিয়ে বাইরে বের হয়ে আরেক ঢাক্কা খেলাম। দরজা থেকে বারান্দা দিয়ে হেটে প্রায় ২০ ফুট পেরুতে হয়। এ অংশটুকু পুরোটাই ছেলেরা ভিড় করে দাড়িয়ে আছে। অনুষ্ঠান দেখতে ঢুকতে পারছে না। কিন্তু আমি বের হই কি করে? "এক্সকিউজ মি" বলে কোনমতে রাস্তা বের করে এগুচ্ছি। এক সময় সামনের একটা অভদ্র লোক জায়গা না ছেড়ে দাড়িয়ে থাকায় আমাকে থামতে হলো। শেখা পিছন থেকে ঢাক্কা মেরে প্রায় লোকের গায়ে ফেলে বলল, "থামলে কেন? যাও!" আবার রাগ সামলে লোকটিকে সরতে বললাম। এবার পাশের একটি লোক সামনের লোকটিকে সজোরে সরিয়ে দিয়ে আমাদের বলল, যান। আমরা জায়গা পেয়ে তাড়াতাড়ি ভিড় কাটিয়ে বাইরে আসলাম। এরপর রিক্সা নিয়ে সোজা বাড়ি।
শিশু একাডেমী: অটোগ্রাফ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।