কাল উক্ত শিরোনামে একটা প্রবন্ধ আমাদের নজরে এসেছে। আমি লেখক কে সাধুবাদ জানাই, যদিও জানিনা উনি শরিয়া আইন সম্বন্ধে কতোটা জানেন বা কোন আইন প্রয়োগের কথা বলতে চেয়েছেন।
সাধুবাদ জানাই এ কারনে যে উনি মনের অজান্তে আমাদের ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক এটাই কামনা করেছেন। কারন শরিয়া আইন প্রয়োগ করতে হলে সেটা ইসলামী রাষ্ট্র হতে হবে, আদালত ইসলামী আইনে পরিচালিত হতে হবে, বিচারক ইসলামী শরীয়তের উপর জ্ঞানী হতে হবে। এগুলো হলেই কেবল সেখানে শরিয়া আইন প্রয়োগ করা সম্ভবপর হবে।
তাহলে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক যার সংবিধান হবে আল কুরআন ও সহিহ হাদিস, রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আইনের প্রয়োগ করা হোক (উদাহরণ স্বরুপঃ সুদমুক্ত ও যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি-যেখানে এলিজিবল নাগরিক রাষ্ট্রকে যাকাত দিতে বাধ্য থাকবে, যিনার শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত কিংবা পাথর নিক্ষেপে হত্যা, মজুতদারি, মদ্যপান, অশ্লীলতা বন্ধ ইত্যাদি), বয়স ও ইসলামী জ্ঞানের ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হোক, শরিয়া আইনে বিশেসজ্ঞদের কে বিচারক নিয়োগ করা হোক ..., অতঃপর যে কোনো যুদ্ধাপরাধী কে শরিয়া আইনে বিচার করা হোক। এখন তো শুধু জামায়াতে ইসলামির নেতাদের বিচার করার চেষ্টা চলছে, তখন দল-মত নির্বিশেষে প্রকৃত অপরাধীর বিচার হবে। যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করার কারনে আমাদের দেশে আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে?
কাজেই আসুন আমরা শরিয়া আইনেই (যে কোন হোক, শরিয়া আইন তো) যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চাই।