প্রেম করার জন্য বেকার ছেলে গুলি দারুন হয়। যখন তখন যেভাবে খুশি নাচানো যায়।প্রেমিকার মন খারাপ ? তার হাতে অফুরন্ত সময়। সারা রাত প্রেমিকার মিছে রাগ ভাঙ্গাতে কখনো জীবনানন্দ কখনো রবীন্দ্র বা মৈত্রী !
মাঝ রাতে ছেলেটিকে রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট বানিয়ে নিজেকে চাঁদ ভাবাটা যে বড্ড বেশি আনন্দের !
ফোন কল টা ওয়েটিংয়ে রেখে ছেলেটার ছট ফটানি দেখে নিজেকে হয়তো রানী এলি বা অন্য কিছু ভাবা যেতেই পারে।
কিন্তু মেয়ে যে ছেলেটার টাকায় ফুচকা খেয়ে তুমি গাল লাল করেছ সেই টাকাটা ছেলেটা বাজার করে কামিয়েছে। রিক্সার পথ পায়ে হেটে, আট টাকার আলু দশ টাকা বলে কামিয়েছে ! তুমি যখন মেনু হাতে অর্ডার করছিলে ছেলেটা তখন প্রাইস লিস্ট দেখে পকেটে হাত রেখে মনে মনে ঘামছিল ! হয়তো সারা মাসের টিউশনির টাকাটাও তোমার গালের লাল হয়ে যাওয়া দেখার মোহেই ফুঁরিয়ে যাবে।
বিশ্বাস করো মেয়ে তবু পরোওয়া নেই। শুধু রাত ভর স্বপ্ন সাজাতে সাজাতে ব্যালেন্স শেষে হুট করে ফোন কাটার শব্দটা ছাড়া বাকি সব কিছুই ছেলেটাকে মুগ্ধ করে l
তবু কোন একদিন হয়তো বাবার ঠিক করা ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটাকে দেখে এই বেকার ছেলেটিকে তোমার বাতিল মনে হবে। বেকার ছেলেরা বোকাও হয় বটে। তোমার ভেজা চোখে ছেলেটা যখন নিজের অযোগ্যতাটা দেখবে তোমার মুখে যখন শুনবে বাবা মাকে তুমি কাঁদাতে পারবেনা। বেকার ছেলেটা হয়তো ভালবাসার কাছে নিজের কলিজাটা বিক্রি করে দিবে।
কিন্তু জেনে রেখ অপ্সরী। বেকার বলে কেউ কখনো বাতিল হয়না। একদিন এই বেকারের বাড়ির ডিজাইন করবে তোমার সেই ইঞ্জিনিয়ার স্বামী। যে ছেলেরা হাসতে হাসতে স্বপ্ন বেঁচে দুঃখ কিনে আনে সে ছেলেরা কখনো পড়ে থাকেনা। দুঃখ গুলোই তাদের সুখের নীড়ে পৌছে দেয়। বরং হতভাগী তুমি। দামী রেষ্টুরেন্টে বসে যখন তুমি চাওমিন খাবে তোমার ইঞ্জিনিয়ারের চোখ তখন হাত ঘড়িতে। এক জীবনে হয়তো তুমি অনেক কিছুই পাবে। তবে কখনো পাবেনা মুগ্ধ হয়ে থাকা সেই দুটি চোখ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৪