somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আসাদ শাহীন
মাঝে মাঝে ভাবি আমি তো সাধারন একজন , হাজার মানুষের মধ্যে আমার কোন বিশেষত নেই। হাজার মানুষ না ধরলাম শত মানুষ ধরলাম তারপর ভাবলাম নাহ্‌ আমার কোন বিশেষত নেই। আর দশ টা পাঁচ টা মানুষের মত আমি অতি সাধারন। নিজের অজান্তেই সিধান্ত নিলাম কিচ্ছু একটা করি সাধারন থেকে

"সুখ তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে"

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যারা নিজেকে সবসময় অসুখী মনে করেন তাদের
অনেকেই মানসিক ডাক্তার ও মনস্তত্ত্ববিদের
কাছে যান সাহায্যের জন্য৷ এই
প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন করা হয়েছিল,
কারা তাদের কাছে আসেন এবং তাদের
সমস্যা কি?
ড্যুসেলডর্ফের মনস্তত্ত্ববিদ আন্ড্রেয়াস সোলইয়ানের
কাছে এমন সব মানুষই আসেন যারা কোনো কিছু
হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করছেন৷ ‘‘যেমন কোনো সম্পর্ক
ভেঙে গেলে, বিবাহ বিচ্ছেদ বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে৷’’

<>সুখের প্রাচুর্যও অসুখী করে তোলে!=

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো সুখের প্রাচুর্যও
অনেককে অসুখী করে তোলে৷ অল্প সময়ের
মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ অনেক কিছু ঘটে গেলে মানসিক
দিক দিয়ে অনেকে তাল সামলাতে পারে না৷ ভাল
একটি কাজ পাওয়া, নতুন জীবনসঙ্গী পাওয়া,
বিয়ে হওয়া, সুলভ মূল্যে একটি বাড়ি কেনার সুযোগ
হওয়া – এসব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটে গেলে বিহ্বল
হয়ে যেতে পারে মানুষ,
জেগে উঠতে পারে একটা মনমরাভাব৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মনস্তাত্ত্বিক
সোলইয়ান চিত্তাকর্ষক দুটি দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ
করেন৷ দুই জনের দুই রকম ভাগ্যলিপি৷ একজন,
বিনা দোষে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত
পক্ষাঘাতে আক্রান্ত এক তরুণ৷ এই তরুণ হাসিমুখেই
থেরাপিস্টের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন৷ পরে সুখ
সম্পর্কে তাঁর অনুভূতির কথা জিজ্ঞেস করা হয়৷ প্রশ্ন
করা হয় একদম অসুখী থেকে বেশ সুখী, অর্থাৎ ০ থেকে ৬
পর্যন্ত সুখের স্কেলে নিজেকে তিনি কোথায় দেখেন৷
তাঁর উত্তর ছিল ৪.১৷ অন্যদিকে দ্বিতীয়জন
লটারিতে পাঁচ লাখ ইউরো পেয়েও তাঁর উত্তর ছিল ৪.২৷
এতে বোঝা যায় একেক জনের সুখ ও দুঃখের
অনুভূতি একেক রকম৷

<>কারণের ওপর মানুষের হাত নেই=

মনোরোগ চিকিৎসক রোলান্ড উরবান মনে করেন, দুঃখের
অনুভূতির ব্যাপারে একটা মিল দেখা যায় সব ক্ষেত্রে৷
আর সেটা হলো এর কারণটার ওপর মানুষের হাত নেই৷
মানুষ এটিকে প্রভাবিত করতে পারে না৷ যেমন অসুস্থতা,
আপনজনের মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো ক্ষতি হওয়া৷
তবে মানুষের ভেতরের একটা নিরাময়
ক্ষমতা দুঃখবোধকে কমিয়ে দিতে পারে৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক
সাক্ষাৎকারে এই চিকিত্সক বলেন,
ভুক্তভোগী যদি এমন কিছু খুঁজে পান
যা তার জীবনে একটা পরিবর্তন
আনতে পারে, তাহলে দুঃখবোধটাও
অনেক কমে যায়৷ এই
প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেন তিনি৷
এক মহিলা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর
শোকাভিভূত হয়ে পড়েন৷ কিন্তু যখন
থেকে তিনি পাশের বাড়ির এক
অসহায় মহিলাকে সাহায্য করতে শুরু
করেন, তখন থেকে নিজের দুঃখবোধও
অনেকটা কমে যায়৷ সামাজিক
কাজকর্ম, অন্যের প্রতি ভালবাসা,
দায়িত্ববোধ এসব
মনটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়৷
নিজের ক্ষতিকে ঘিরে থাকে না আর৷

<>মানসিক অসুস্থতা নয় =

এই মনস্তাত্ত্বিক সতর্ক করে বলেন,
দুঃখবোধকে মানসিক বৈকল্য
বা অসুস্থতার সঙ্গে তুলনা করা উচিত
নয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘অসুখী বোধ
করা একটি গভীর যন্ত্রণাদায়ক
অনুভূতি৷ এটা কোনো অসুস্থতা নয়৷
অনেককে বলতে শোনা যায়
তারা অসুখী এবং ডিপ্রেশনে ভুগছেন৷
শোক অনুভব করা সুস্থ মানুষের
নিতান্তই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া৷''
মিউনিখের সাইকোথেরাপিস্ট ও কোচ
স্টেফান লেরমার মনে করেন শোক ও
‘অসুখ' মানুষের জীবনেরই অঙ্গ৷
আলো ও ছায়ার মতো৷ সুখ
খুঁজতে হলে প্রয়োজন আত্মআবিষ্কার৷
‘‘মানুষের নিজের চাহিদাটা জানতে হবে৷
জানতে হবে আমি কী চাই? আমার কাছে কী গুরুত্বপূর্ণ?
ভোগ মানুষকে সুখী করতে পারে না৷ এটা বলা যায়,
অন্যের সঙ্গে তুলনা করা সুখকে ধ্বংস করতে পারে৷
অন্যকে সুখী করতে পারলে নিজেও সুখ পাওয়া যায়৷''
মনস্তত্ত্ববিদ লেরমার বলেন, আগে অনেকে পরকালে সুখ
পাওয়ার আশা করতেন৷ আজ এই মনোভাব পালটে গেছে৷
সুখ হলো বেতার তরঙ্গের মতো৷ এটা সবসময় থাকে৷
একে শুধু বের করে আনতে হয়৷ বলেন শ্টেফান লেরমার৷
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×