সকাল-সন্ধ্যা তারপর একঘড়ি রাত
কারখানার মেশিনের সাথে থেকে
আমিও হ’য়ে যাই যন্ত্রর
তিরিক্ষি মেজাজের পুরনো লোহা লক্কর।
জীবনের ঘানি টেনে টেনে বিবশ।
আরজু মিঞার হোটেলে
পাত্থরঅলা ভাত, ভর্তা আর ডালের পানিতে
পেটের আগুন ঠান্ডা ক’রে
পুরানো দরজা ভাঙ্গা গুদাম ঘরটার
খালি বাক্স প্যাটরার ফাঁক ফোকরে
ক’টা কাগজ পেতে
অবশ দেহটা ঢেলে দেই।
জড়িয়ে মুড়িয়ে ঘুমের আশ্রয় খুঁজি
তেলাপোকা ইঁদুরের হাঁটা চলা খচ্খচ্ দৌড়ঝাঁপ
আমাকে তাড়াতে পারে না।
নিরূপায় মানুষকে বেপরোয়াই হতে হয়।
প্রশান্তির স্পর্শের আগেই
ঘুমের পাথর নামে শরীরে
চেতনা বিলুপ্ত হয়।
সকালের কড়া রোদ গায়ে লেগে ঘুম ভাঙ্গে;
ঘুমের জায়গাটার দিকে তাকিয়ে
দ্রুত বেরিয়ে পড়ি
কোন জেগে থাকা মানুষ
ওখানে থাকতে পারে না বেশীক্ষণ।