কথা ছিলো এমনি এক পরদুপুরে যখন আকাশ গড়িয়ে বৃষ্টি নামবে, রোদ্রের তাপ নিভে ঝড়বে শান্ত শিতল মেঘমালা, সেদিন তোর হাত ধরে আমি হব বৃষ্টিমানব। অঝড় ঝড়ায় আমার উঠোন হবে প্লাবিত, উঠোনের সামনে সবুজ মাঠ, ভাজে ভাজে আইল। মাঠের পাশে শান্ত পুকুর, একঝাক হাসের সৌখিনতা।
পুরোনো পাতা ঝড়া নতুন মাটির পিচ্ছিল উঠোন আমার। পায়ের খামচি আটকে পেরোবো তোর উৎকণ্ঠার ভরে, এই বুঝি পড়ে যাই। উঠোন পেরুলোই খোলা মাঠ, মাঠের বাতাসে ধুসর বর্ষণ। যেন মন থেকেই চাইছে আকাশ, আজ কেউ জলে ভাসুক, আজ কারো মন ভিজুক। কোন এক যুগলের হোক উদাত্য আলিঙ্গন।
বৃষ্টির ঘন ফোটায় ঘোলা হবে চারপাশ। তোর গায়ের শাড়ি ভিজে একাকার, বেনী গড়িয়ে পড়ছে তোর চুলভেজা ঘ্রাণ। মাঠের বুকে একপাতা পানি, তোর আলতা চুঁয়ে রঙিন হলো সব। উন্মত্য খোলা হাসিতে তোর মুক্ত হলো চারপাশ। মেঘ গুরিয়ে জবাব দেয় আকাশ, আমার এ সজ্জা তুমি মুক্ত কর তোমার নিশ্বাসে।
এমনি এক বৃষ্টিভেজা প্রনয়ের মাঠে আমার হাতে তোর হাত, এ যেন শত বছরের অর্জন। আমি পারবোনা এর তুলনা দিতে, পারবোনা সে অনুভূতির দাম গুনতে। শুধু পারি অপলক তাকিয়ে থাকতে, তোর স্পর্শে নিজেতে প্রাণ জাগাতে।
বেহিসেবী বৃষ্টি তোর কপাল ছুঁয়ে যায়, গাল ছুঁয়ে যায় আরও ছুঁয়ে যায় তোর ঠোট। এ বৃষ্টি যতই ভিজুক, যতই ছুঁয়ে যাক তোর সর্বাঙ্গে, ঐ কাজল আমি ছুঁতে দেবনা কিছুতেই। ও কাজলে শুধু আমারই অধিকার। জন্ম-জন্মান্তরের অধিকার।