লোকমুখে শোনা যায় অনেক আগে নাকি এখানে একটা আকাশ ছিল। অন্যসব আকাশের মত সে আকাশেরও ছিল নিজস্ব একটা সাম্রাজ্য, ছিল মেঘের মত বড় বড় পাহাড়, ছিল নীল রঙা নদী, আলো-আধার। নিজের সাম্রাজ্যের একক অধিপতি সে আকাশের দিনগুলো কাটতো নিজের মতন করে। যেদিন আকাশের মন খুব ভাল থাকতো সেদিন সে তার ইচ্ছেমত ছবি আঁকতো মেঘের রঙে। কখনো ফুল, কখনো পাখি, কখনোবা গান আবার কখনো কবিতার ছবি। ছবির ক্যানভাসগুলোকে ঘুড়ি বানিয়ে উড়িয়ে দিতো এদিক সেদিক। রাতের অবসরে বসে গল্প বুনতে ভালবাসতো সে আকাশ। একটি একটি করে গল্প বুনে তার ডায়রিতে সেটে দিত তারার মত করে। মাঝে মাঝে ভালবাসার অভাবে দু একটা গল্প খসেও পরতো।তবে কোন গল্প খসে পড়লে আকাশের মন খারাপ হতো খুব। আর যখন মন খারাপ হতো তখন সে মুখ গোমরা করে কেঁদে ভাসাতো চারপাশ। বৃষ্টির মত করে ভিজিয়ে দিতো সবকিছু। কেঁদে কেঁদে বুক হালকা হলে হলুদ হাসিতে আবার আলোকিত করতো বাতাসকে। ঠিক বৃষ্টি ফুরোলে যেনটি হয়।
হঠাৎ একদিন আকাশের খুব রাগ হলো। তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়লো চারপাশ। বুকের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলোকে ভেঙেচুড়ে গুড়িয়ে দিলো বাতাসের সাথে, রাগে-ক্ষোভে পুড়িয়ে ছারখার করে দিলো রঙিন ঘুড়িগুলোকে। যন্ত্রণার কালবৈশেখী ঝড় উঠলো তার বুকে। সকল হাসির আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে দিল চারিদিক। ডায়রির পাতাগুলোকে ছিড়ে কুটিকুটি করে ফেললো এক নিমেষে। যেন সেগুলো তার কেউ নয়। এমনি করে মূহুর্তেই সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে সে আকাশ কোথায় হারিয়ে গেলো তা জানেনা কেউেই ।আর কেন বা কার উপর ছিল সে অভিমান তাও এখনো অজানা সকলের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৬