ফ্যামিলি সাপোর্ট খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটা শিশুকালে বাবা-মার আঙুল ধরে হাটতে শেখা থেকে শুরু করে জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ফ্যামিলি হচ্ছে আল্টিমেট গার্ডিয়ান এবং বেকআপ। জীবনের যেকোন পর্যায়ে যখন নতুন এবং সম্পূর্ণ অপরিচিত কিছু করার প্রশ্ন আসে তখন যে সাহসের প্রয়োজন হয় তা দেবার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে ফ্যামিলি। আমি যে শুধু অর্থনৈতিক সাপোর্টের কথা বলছি না তা এতক্ষনে পরিস্কার হয়ে যাবার কথা। হ্যা, এটাও one kind of support and very much important one। এর পাশেও যেটা সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে মানসিক সাপোর্ট।
অর্থনৈতিক অবস্থা সব ফ্যামিলির এক রকম নয়। তবে মানসিক সাপোর্ট পাওয়ার অধিকার আমি মনে করি প্রতিটা শিশুর আছে। যেকোন পজেটিভ কাজে উৎসাহ দেয়া প্রতিটি ফ্যামিলির দায়িত্ব। তিন বেলা ভাত খাওয়াইয়াই যদি মনে করেন ফ্যামিলির সব দায়িত্ব শেষ, তাহলে বলি আপনারা গরু-ছাগল পালেন। u will get better output than humen.আপনি যদি চান আপনার শিশু বড় হয়ে লেখক বা অঙ্কনশিল্পী হবে তবে তাকে এলোমেলো দাগাদাগি করে পৃষ্ঠা নষ্ট করার সুযোগ ও সাহস দুইই দিতে হবে। আপনি যদি চান আপনার সন্তান উন্নয়নে নেতৃত্ত্ব দেবে তবে তাকে ভিন্নরকমভাবে ভাবার উৎসাহ দিতে হবে পাশাপাশি অধিকারও। এরচাইতেও বড় বিষয়, আপনার সন্তানের যে বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সেখানে উৎসাহ দেয়া এবং সে যে সেই কাজের যোগ্য সে বিষয়ে তার ভিতরে কন্ফিডেন্স তৈরী করা। গদবাধা নিয়মে বাধ্য করছেন মানে আপনি রোবট তৈরী করছেন যেটাতে আধুনিক রোবটের মত সেন্সরও থাকবে না।
একই রকম সাপোর্ট দরকার পরিণত বয়সেও। খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন দায়িত্বগ্রহন ও পালনে তার আপনার সাপোর্ট অবশ্যই দরকার। বড় কিছু করতে দরকার বড় রকম সাপোর্ট যা মানুষ আশা করে তার সর্বোচ্চ আস্থাভাজন মানুষগুলোর কাছ থেকে। সেখানে আপনার সন্তানের জন্য আপনি সেই সর্বোচ্চ আস্থাভাজন মানুষটি হতে পারছেন কিনা সেটা আপনারই হাতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০১