ছোট বেলায় গ্রামের সরকারী প্রাইমারী ইসকুলে যখন পড়তাম, একদিন প্রধান শিক্ষক আমাদের একটা যাদু দেখাবেন বলে সবাইকে চুপ হতে বললেন। আমরা জিগেস করলাম স্যারকে উনি কি যাদু দেখাবেন ;
স্যার বললেন 'আমি ইস্কুল ভবনটিকে এক ধাক্কা মেরে দুহাত পেছনে নিয়ে যাবো।
আমরা সবাইতো অবাক, কী করে সম্ভব!
তা
দুঃখ হয় অনেক ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশের করুন অবস্থা দেখে। দেশ যদি এগিয়েই যায় তাহলে চারদিকে এত হাহাকার কেন! দলে দলে লোকজন ছুটছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইওরোপীয় কোন দেশে কাজের জন্য,ডিঙি নৌকায় মালয় দেশে জীবনের ঝুকি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো না। এখানে কিছু লোকের পেশার বিষয় এখন রাজনীতি। একবার একটু সুযোগ পেলে সারাজীবন পা নাচিয়ে জমিদারী স্ট্যাইলে চলা যায়।
যে দেশে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ব্যবসা চলে বীরদর্পে, যেখানে স্থানীয় এমপিগণ ক্ষমতার মসনদকে টাকা বানানোর মেশিন মনে করে,
যাকে ইচ্ছা গুম করে দেয়া যায়, কাউকে ক্রসে দিলেও কোনো সমস্যা নেই।
ধর্ষন, খুন-হত্যা,জবর দখল, কমিশন, সুদ মওকুফ, চাকরী পাইয়ে দেয়া, বদলী বাণিজ্য, সরকারী টেন্ডারে সব জায়গাতেই ঘুনপোকা।
যে যার ইচ্ছেয় চালাচ্ছে নৌকা, হুস নেই
ঝঞ্জা এলে তরী কী ভিড়বে না কী ডুববে!
তার কী আছে জানা পূর্বাভাস! সাধারন জনতা বেসামাল হলে মাল-সামাল ফেলে বুড়ীগংগায়ও ঝাপ দিতে পারবে না, কারন নোংরা জলের চাইতে মৃত্যুও শ্রেয় কখনো কখনো।
কার ভাগ্য খুলবে আর কার সিকেয় উঠবে
সেই পাটিগণিতের চর্চা কি দেশে হয়!
অর্থনিয়ে যিনি ভাবেন তিনি ভাবেন তার মত আর কেউ বোঝে না।
খাদ্যমন্ত্রী ভারিক্কী বক্তব্য দেয় মিডিয়াতে
অথচ নিজের মজুতের কোন পরিসংখ্যান নেই তার কাছে। ধানের সিজনে চালের দাম বাড়ে! সেলুকাস সত্যি বিচিত্র। সুনাম গঞ্জের হাওর ভেসে গেলো সারা দেশে চালের দাম বেড়ে যায়। তাহলে সারাদেশে সুনামগঞ্জের চালে চলতো ধরে নেয়া যায়।
তোষামোদি রাজনীতি ও দূর্ণীতি শেষ করতে হবে তথা জনগণের ভোট ও ভালবাসা অর্জন করলেই গল্পের যাদু যাদুই হবে কৌতিকে পরিণত হবে না।