কিছু কথা বাবা মা’র মুখে শোনা হয় না বহুকাল... আর হয়ত কখনও শোনাও হবে না।অনেক মিস করি কথা গুলো.........
মা ঃ দাড়া! তোর আব্বু আজ আসুক অফিস থেকে যদি মার না খাইয়েছি...
বাবা ঃ এত বেলা করে ঘুমাস...ওঠ এখনি।তোরে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
মা ঃ টাকা টা রাখ, টিফিন পিরিয়ডে কিছু খেয়ে নিস
বাবাঃ ঃ ১০০ টাকা ! এত টাকা দিয়ে কি করবি? নে ২০
টাকা রাখ... এই টাঁকাই আমাদের সময় আমি এক মাস চালাতাম।
মা বাবা কে উদ্দেশ্য করে ঃ ওকে বকছ কেন? ওর কি দোষ? ওর বন্ধুরাই তো ফুসলিইয়েছে স্কুল পালাতে। আমার ছেলে মোটেও ওরকম না।
বাবা মা কে উদ্দেশ্য করে ঃ সব তোমার দোষ... তোমার লাই পেয়ে আজ ওর এই অবস্থা। একটু বকাঝকাও করা যাবে না দেখছি তোমার জন্য।
মা ঃ (পরীক্ষার দিন) একটু ভাল করে খেয়ে যা...কিসুই তো খেলি না
বাবা ঃ ঠিক মত পরীক্ষা দিস......লেখা শেষ হলে একবার রিভিশন দিবি
বন্ধুদের কিছু কথা ঃ
১. দোস্ত বিকালে মাঠে আসিস কিন্তু ।
২. দোস্ত মামা’ই(ভিডিও গেমের দোকানদার)নতুন একটা গেম আনছে ... হেব্বী।চল যায়...টাকা আছে তোর কাছে? আমারে ৫ টাকা ধার দিস।
৩. টিফিন পিরিয়ডে ঃ মামা আমারে ২ ট্যাকার ঝালমুড়ি দ্যান... ৫ টাকার চটপটি দ্যান। তাও আবার অনেক সময় দোস্তরে ভাগ দেওন লাগত।
৪. স্কুলের ছুটির ঘণ্টা পড়লেই ওরে দৌড়......একটা কোরাস গাইতাম “ স্কুল ছুটি...গরম গরম রুটি...এক কাপ চা...সবাই মিলে খা’’
স্কুলে-বাসায় পড়ার বইয়ের মাঝে কমিক্স এর বই রেখে পরতাম।একবার খালাতো বোনের কাছে ধরা পড়ে গেছিলাম... পরে বুঝছি সেও এই লাইন এর পাবলিক।
খেলার দিন গুলো ঃ কতরকম খেলা যে খেলতাম। নাম গুলও মজার ছিল- বরফ পানি,ছয়াছুয়ি,ইচিংবিচিং,রেস্কু,ঠুল্লুরি ফুটান,ঘুড্ডি ওড়ানো, সুতোয় মাঞ্জা দেয়ার কত যে যোগারযন্ত করতাম তার ইয়ত্তা নেই।
স্কুল পালানো ঃ দারোয়ান মামা টিফিন পিরিয়ডে ব্যাগ নিয়ে বের হতে দিত না, নিষেধ ছিল। কই বাত নেহি...... একজন আগেই বের হয়ে যেয়ে পিছনের জানালায় দাড়াতো আর আমরা জানালা’র ফাক দিয়ে ব্যাগ বের করে দিতাম।অতঃপর দারোয়ান মামার সামনে দিয়ে সুবোধ বালকের মত টিফিন খেতে যেতাম।অবশ্য পরে ঐ জানালাটা পারমানেন্টলি বন্ধ করে দেয়া হয়ে ছিল কারন একবার এভাবে অর্ধেকের বেশী ছাত্র পালিয়ে গেছিল।
লিখলে আসলে এরকম হাজারো সৃতি মনে পড়বে। এগুলো মনে পড়লে মনে হয় জীবনটা অনেক সুন্দর... সেই সাথে অনেক ছোটও ।