somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাসকিনের হাতে ধনীর মুণ্ডু ফটোশপ বাই সুমিত কুমার মেইড ইন ইন্ডিয়া

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ে অনলাইনে একটি অত্যন্ত করদর্য জাতীয় ছবি ভাইরাল হয়ে যায়।


ছবিটি মূলত হলিউডি ছায়াছবি “থ্রি হান্ড্রেড” এর পোস্টারকে ফটোশপ করে বানানো যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত গতি দানব তাসকিন আহমেদ তাঁর বাম হাতে একটি ধারালো তলোয়ার ধরে রেখেছে যেখান থেকে ঝরে পড়ছে রক্ত ও তাসকিনের ডান হাতে ধরে রাখা ইন্ডিয়া ক্রিকেট দলের মাঝ বয়সী অধিনায়ক মহিন্দ্র ধনীর কাটা মাথা।

এই ছবিটি কোথা থেকে এলো, কিভাবে এলো সেটি কখনই প্রমাণ করা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত স্টেরিওটাইপড ভাবে সবাই ধরে নিয়েছিলো যে ছবিটা হয়ত বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট ভক্ত অত্যন্ত আবেগের স্থান থেকে করেছে। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটেছে ও সন্দেহ তৈরী হয়েছে ঠিক তখন যখন এই ছবিটি ধরে ধরে ভারতের সব প্রথম সারির মিডিয়া গ্রুপগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডায় মেতে উঠেছিলো। এমকি অসভ্যতার সকল সীমারেখা ছেড়ে বেনাপোলের ওপারের দেশটি বলে আসছিলো যে এই ছবিটির কারনেই নাকি তাসকিন আহমেদের বোলিং ব্যান করা হয়েছে।

ভারতের সিধু সারাটা জীবন বাংলাদেশকে নিয়ে উপহাস করেছে, কৌতূক করেছে। শেষ পর্যন্ত সে বাংলাদেশকে কাংলাদেশ বলেছে। বিশ্বকাপের আগে মওকা মওকা গান বানিয়ে নোংরামি করেছে, এই টি টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপের আগে তারা ভিডিও বানিয়েছে “পেহলা শিকার” নামে। ভারতের মিডিয়াকে আশ্চর্যজনকভাবে এ নিয়ে কখনোই উচ্চকিত হতে দেখা যায়নি অথচ এই সুনির্দিষ্ট ছবি নিয়ে ভারতের এই মাতামাতি খুব সন্দেহের ছিলো।

এদিকে এই ছবি কোথা থেকে এসেছে এটি নিয়ে বাংলাদেশেও কৌতূহলের শেষ নেই। আজকে বের হয়ে এসেছে যে এই ছবিটি মূলত ভারত থেকেই তৈরী করা হয়েছে। সুমিত কুমার নামে এক ভারতীয় ক্রিকেট বিষয়ক লেখক একটি লেখা লিখেন ক্রিক স্পিরিট নামে একটি সাইটে। যেখানে এই ছবিটি ব্যবহার হয় যদিও উল্লেখিত ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তারও দুইদিন আগে। কিন্তু বিপত্তির স্থানটি হচ্ছে যে ছবি নিয়ে এত মাতামাতি সে ছবিটিতে সব সময় দেখা গেছে তাসকিনের কোমরের উপর থেকে। কখনোই এই ছবির পূর্ণাঙ্গ ভার্সন অনলাইনে আসেনি এবং কেউ তা দেখেওনি। কিন্তু সুমিত কুমার নামে সে ভদ্রলোকের ব্যাপারে অনুসন্ধানে নামতেই দেখা মিলেছে যে সুমিত এই ছবিটির মাস্টার কপির মূল মালিক। তার নামেই এই ছবিটি অনলাইনে রয়ে গেছে। যে ছবিতে তাসকিন আহমেদের ট্রাউজার, ডান হাতের দিকে আরো বিশাল অংশের ক্যানভাস, ডান দিকেও ক্যানভাস্টা বেশ চওড়া যেগুলো আগে কখনো কেউ দেখেনি।



স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে সুমিত কুমার নামে এই ভারতীয় এই পূর্ণ ছবিটি কোথায় পেলেন। যদিও ৫ই মার্চের একটি লেখায় তিনি ওই উল্লেখিত ছবিটির একটি কাটা ভার্সন দিয়ে বলেছেন ছবিটি তিনি “স্পোর্টস কিডা” নামের ওয়েব সাইট থেকে পেয়েছেন কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে সেইখানে পূর্নাঙ্গ ছবিটি দেয়া নেই শুধু পূর্ণাঙ্গ ছবিটি রয়ে গেছে গুগল ইমেজ স্টোরেজে আর সেটি রয়েছে সুমিতের নামেই। এই থেকে সন্দেহ প্রবল ভাবে দানা বেঁধেছে যে ছবিটার মূল হোতা এই ভারতের সুমিত কুমার।

অনেক বাংলাদেশী ক্রীড়াপ্রেমীরা শুরু থেকেই ভারতের দিকেই আঙ্গুল নির্দেশ করে এসেছেন। তাঁদের মতে এই ধরনের নোংরা খেলা ভারতের পক্ষেই খেলা সম্ভব যা তারা সব সময় করে আসছে। ভারত বাংলাদেশকে জব্দ করবার জন্য, বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শক জঙ্গী এটা প্রমাণ করবার জন্যই এই অসভ্য অস্ত্রটি চেলেছে বলে অনলাইন ব্যবহারকারীদের ধারনা। অনলাইন ব্যবহারকারীরা আরো বলছেন যে এই ছবিটির ব্যাপারে বাংলাদেশের সবাই বিরুদ্ধ চারন করেছিলো শুরু থেকেই, তবে তারপরেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ছবি ব্যবহার করে কেন এই অশোভন প্রোপাগান্ডা?

সুমিতের নামে পূর্ণাঙ্গ ছবিটাই সব রহস্যের জট খুলে দিল অবশেষে।
কৃতজ্ঞতাঃ bbarta24.info

আসলেই রেন্ডিয়ানরা অনেক মহান জাতি যাহারা নিজেরা চুরি করে আবার অন্যদের চোর বলে অপবাদ দেয়। পুনরায় ডাকাতি করে আগের চুরির দোহাই দিয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩০
১১টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×