মানুষের মনে এতো রঙ্গ আসে কি ভাবে ক্ষুদ্র মগজে আসেনা।
আজ পর্যন্ত প্রেম, ভালোবাসা বা ছ্যাঁক খাওয়ার যত ঘটনা
আছে সব বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম কে নিয়ে। গত রাত্রে বলতে
গেলে শোকে পুরাই পাথর হয়ে গিয়েছিলাম।
ফেসবুকের সর্বত্র দেখলাম শোকের মাতম চলছিলো।
এই শোক আরও বাড়িয়ে দিয়ে ছিল কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে তনুর
হত্যার ঘটনা। এমনকি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু হত্যার
বিচার চেয়ে রাস্তায় নামবার জন্য ইনভাইট করা অনেকগুলো ইভেন্ট চোখে
পরেছিল। সম্ভাবত সবাই লোক দেখানো শোকে কাতর ছিল।
আজ ভার্সিটিতে গিয়েই শুনি সকালের ক্লাস হচ্ছে না বরং
একটা সেমিনার হচ্ছে যেখানে সবাইকে যেতে বলা হয়েছে।
কিছু সময় ল্যাবে থেকে চিন্তা করলাম বাসায় চলে যাই যেহেতু
পরবর্তী ক্লাস শুরু হতে প্রায় ২ঘণ্টা ৩০ মিনিটের গ্যাপ ছিল।
কিন্তু খবর পেলাম হোলির আদলে ক্যাম্পাসের সামনে রঙ উৎসব
শুরু হয়ে গিয়েছে। সুতরাং একবার সামনে পড়লে আর রক্ষা নাই।
যদিও বিষয়টি আমার কাছে অত্তান্ত পছন্দের নয়। কিন্তু সমস্যা
হল কে শুনবে কার কথা, এই রঙ উৎসবে তাহাদের শ্লোগান বাদ
যাবেনা কেউ.।। সুতরাং এই আবীরের ছোঁয়া থেকে রক্ষা পেতে
আড়াই ঘণ্টা সময় এক প্রকার পালিয়ে ছিলাম লাইব্রেরী, ক্যান্টিন
আর ল্যাবে।
অনেকেই একটি কোটেশন দিচ্ছে, "ধর্ম যার যার উৎসব সবার"।
আমি কোন তর্ক বা বিতর্কে জড়াতে চাই না অথবা হোলি রঙ
উৎসব হালাল না হারাম এসব ফতোয়া দিতেও আগ্রহী নই। কিন্তু
আমার একটি অনুরোধ দয়া করে কারও ওপর জোর করে কিছু
চাপিয়ে দেওয়া যা তার হয়ত অপছন্দের এটা ঠিক কি!
একবারের জন্য হলেও ভেবে দেখবেন।
আপনি হয়ত অনেক উৎসবের ভেতর আছেন অথচ অন্য কেউ হয়ত
তীব্র মনোবেদনায় আছে। আজ একটি বন্ধুকে দেখলাম রঙ মেখে তার
অবস্থা পুরাই সং সাজার মতন হয়েছে, বন্ধুটি দুঃখ করে বলছিল আজ
ভার্সিটি থেকে সে তার মামা বাসায় যাবার কথা কিন্তু এই অবস্থায়
কিভাবে সে সেখানে যাবে! বিষয়টি কি তার জন্য অপ্রীতিকর ছিল না!
সুতরাং আপনারদের আনন্দঘন মুহূর্তে অন্য আর একজন যিনি আসলে
আপনাদের সাথে তার কষ্টও হয়ত শেয়ার করতে পারছে না কিন্তু
তাকে জড়ানো খব একটা শোভনীয় নয় বলেই মনে করি।