দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোস্ট যেখানে বলা হচ্ছে শিশু ধর্ষণে সরাসরি মৃত্যুদন্ডের বিধানে সাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী । অসংখ্য সাধারণ মানুষ, ভক্ত-সমর্থক ছবিটি শেয়ার করছেন, ভাসাচ্ছেন প্রশংসার জোয়ারে। কেউ কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সাজানো বলে বিদ্রুপও করেছেন।
ছবিটি নিয়ে নানা মুখরোচক স্যাটায়ার পোস্টও করে ফেলেছেন অতিউৎসাহী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী। অথচ পুরো বিষয়টিই ছিল নিছক গুজব। বিভিন্ন ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল , রাজনীতিবীদ এর ভুয়া পেইজ ছিল এ গুজবের ইন্ধনে। ঘটনার যাচাই বাছাই না করে সঙ্গে যোগ দিয়েছিল কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফেসবুক পেইজ, আইনজী, রাজনীতিবীদ।
উল্লেখ্য যে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র বলবৎ হবার পর আইন প্রণয়নের জন্য ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয়। প্রায় সব বিল উত্থাপন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কোনো বিল পাশ হতে হলে উপস্থিত সংসদ-সদস্যদের অধিকাংশের ভোটের প্রয়োজন। বিল পাস হওয়ার পর স্পীকার এতে স্বাক্ষর দান করেন। এরপর বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর বিলটি জাতীয় সংসদের একটি আইন হিসেবে সরকারি গেজেটে ছাপা হয়।
যখন জাতীয় সংসদের অধিবেশন থাকে না অথবা সংসদ ভেঙে দেয়া হয়, রাষ্ট্রপতির যদি প্রতীয়মান হয় যে এমন একটা অবস্থা বিরাজ করছে যার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কোনো অধ্যাদেশ জারী করতে পারেন যা সরকারি গেজেটে মুদ্রিত হয়। এ অধ্যাদেশের আইনের সমপরিমাণ ক্ষমতা থাকে। কিন্তু এ অধ্যাদেশ শাসনতন্ত্রের পরিপন্থী হতে পারে না। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের ত্রিশ দিনের মধ্যে যদি এ অধ্যাদেশ অনুমোদিত না হয় সেক্ষেত্রে ত্রিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অধ্যাদেশের কোনো কার্যকারিতা থাকে না। এধরনের সমাদিষ্ট আইনকে রুল অথবা রেগুলেশন অথবা অর্ডার বলা হয়।
সুত্রঃ Click This Link (বাংলানিউজ)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪